বিশেষ প্রতিনিধি : সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার থানা উপ-কমিটির আগামী ৬ জুলাই নির্বাচনে আনারস প্রতিকের প্রার্থী মো. কাওছার আহমদ চান ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করতে ।
২০১৬ ইং থেকে ২০১৯ ইং পর্যন্ত দীর্ঘ তিন বছর কাওছার আহমদ ছিলেন দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার থানা উপ-কমিটির সভাপতি । বর্তমানে পূনরায় তিনি একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, উপ-কমিটিকে নির্বাচন মুখি করতে তিনি ১৪ থানা কমিটির সাধারণ শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। যার ফলশ্রুতিতে ৬ জুলাই উৎসাহ আর উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্টিত হবে দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার থানা উপ-কমিটির নির্বাচন ।
কদমতলী পয়েন্টে উপ-কমিটির নিজস্ব কার্যালয়টি ছিলো কাঁচা ও বাঁশ ভেড়ার আবর্তে একটি ঘর । তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে সেই জায়গায় নির্মিত হয়েছে পাকা ভবন । ভবন নির্মাণের সময় কথিপয় ব্যক্তিরা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে ভবন স্থাপন বন্ধ করার পায়তারা করেছিলো । তখন কাওছার আহমেদকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানীও করা হয়েছে ।
তিনি শ্রমিকদের স্বার্থে সেই সময়ে পিছপা হননি । ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা অফিস ভবনের একতলা নির্মাণ করা হয় তার সময়ে । আগামী নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করলে তিনতলা ভবন নির্মাণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবেন । বর্তমানে কোনো শ্রমিক দায়িত্ব পালনকালে মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা মৃত্যুভাতা দেওয়া হয় । তিনি নির্বাচিত হলে মৃত্যুভাতা ৩০ হাজার টাকা করবেন বলেও অঙ্গিকার করেন ।
সংগঠনের ফান্ডে যদি অতিরিক্ত টাকা বিদ্যমান থাকে তাহলে মৃত্যুভাতা আরো বেশি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সাধারণ শ্রমিকরা প্রায় সময় পুলিশী হয়রানীর শিকার হয়ে থাকেন । মোগলাবাজার ও দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকার ভেতরে কোনো শ্রমিক এ রকম হয়রানীর শিকার যাতে না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারীসহ শ্রমিকদের পাশে থেকে তাদের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে পালন করে আসছেন তিনি ।
আর এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন । ১২০০ শ্রমিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে নির্বাচনে শতভাগ জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদি তিনি ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা মৃত মজির উল্লাহর ছেলে কাওছার আহমদ ৬ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট । কাওছার আহমেদের এক ভাই এ পৃথিবীতে নেই। বর্তমানে ৪ ভাই প্রবাসে অবস্থান করছেন ।
স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান মো. কাওছার বলেন সংগঠনের কয়েকজন প্রার্থী ভোটারদের টাকার লোভ দেখিয়ে ভোট আদায় করার ফন্দি অব্যাহত রাখলেও আমি টাকা দিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চাই ।