• ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বড়লেখায় চাঁদা না দেওয়ায় ভাইয়ের ওপর হামলা, বাঁচাতে গিয়ে বাবা খুন!

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
বড়লেখায় চাঁদা না দেওয়ায় ভাইয়ের ওপর হামলা, বাঁচাতে গিয়ে বাবা খুন!

স্টাফ রিপোর্টার
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক ছেলের হাতুড়ির আঘাতে আহত রিয়াজ (৭৬) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (২০১৯) হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিয়াজ মারা যান। রিয়াজের বড় ছেলে যুবলীগ নেতা জুবের আহমদের বিরুদ্ধে বাবাকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। এদিকে বাবাকে হত্যার পর ঘাতক জুবের উল্টো তার সৎ দুই ভাইসহ তিনজনের নামে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরই পুলিশ কেফায়েত উল্লাহ মোহাম্মদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। আর গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নিরপরাধ ময়নুল মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী কুলছুমা বেগম।
থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিয়াজের ছেলে যুবদল নেতা ময়নুল মোহাম্মদের বাটা সু-স্টোর নামে একটি দোকান বড়লেখা পৌরশহরে রয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি (২০১৯) রাত ৯টায় ময়নুল মোহাম্মদের দোকানে গিয়ে সৎ ভাই যুবলীগ নেতা জুবের আহমদ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চান। এসময় দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জুবের। এসময় ময়নুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালান জুবের। একপর্যায়ে ছেলে ময়নুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বাবা রিয়াজ। এসময় হাতুড়ির একটি আঘাত রিয়াজের মাথায় এসে পড়লে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে সটকে পড়েন জুবের। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত বাবা রিয়াজকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান ময়নুল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। প্রচুর রক্তকরণ হওয়ায় ঢাকায় নেওয়ার পথেই ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে রিয়াজ মারা যান।
এদিকে অভিযোগ ওঠেছে, এ ঘটনার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘাতক জুবের উল্টো তার সৎ ভাই ময়নুল মোহাম্মদ ও কেফায়েত উল্লাহ মোহাম্মদ এবং ময়নুল মোহাম্মদের স্ত্রী কুলছুমা বেগমকে আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ বাড়ি থেকে কেফায়েত উল্লাহ মোহাম্মদকে গ্রেফতার করেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ‘এটি মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনা শোনার পর একদল পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ সেখানে কাউকে পায়নি। তবে নিহত ব্যক্তির এক ছেলে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’