• ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট চারলেন সড়কের ক্বীনব্রীজ থেকে শ্রীরামপুর বাইপাস সড়ক পর্যন্ত ম্যাপ পরিবর্তনের দাবী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মে ২৮, ২০১৯
সিলেট চারলেন সড়কের ক্বীনব্রীজ থেকে শ্রীরামপুর বাইপাস সড়ক পর্যন্ত ম্যাপ পরিবর্তনের দাবী

সিলেট চারলেন সড়কের ক্বীনব্রীজ থেকে শ্রীরামপুর বাইপাস সড়ক পর্যন্ত ম্যাপ পরিবর্তনের দাবী

সিলেট শেওলা সুতারকান্দি চারলেন সড়ক নির্মাণের চলমান জরিপের ম্যাপে ক্বীনব্রীজ থেকে শ্রীরামপুর বাইপাস সড়ক পর্যন্ত অংশটুকু পরিবর্তনের আহবানে জরুরী মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) রাত ১০ টায় কদমতলীর সুন্দরবন কমিউনিটি সেন্টারে ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খানের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা এড. রফিকুল হক, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র (১) রোটারিয়ান তৌফিক বকস লিপন, এড. এ টি এম ফয়েজ, এড. আব্দুল হাই কাইয়ুম, পরিবহন শ্রমিক নেতা গোলাম হাফিজ লোহিত, কুুশিঘাটের বিশিষ্ট মুরব্বি ও ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন ইরান, সাধারণ সম্পাদক মো. ছয়েফ খান, সমাজসেবী আব্দুস সাত্তার মামুন, ইখতিয়ার খাঁন, ঝালোপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জুনেদ ও কদমতলীর বিশিষ্ট মুরব্বি এম এ আব্দুল মন্নান। মুক্তিযোদ্ধা এড. রফিকুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, এশিয়ান ডেভেলাপম্যান্ট বাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক চারলেন রোড, সিলেট –চারখাই-শেওলা-সুতারকান্দি রোড ৪৩.২০ কিলোমিটারের রাস্তার ম্যাপ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (এসিই) আরএইচডি টেকনিক্যাল এসিসটেন্স ফর সাব রিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফেসেলিটি-২,১৩২/৪ নিউ বেইলী রোড, ঢাকা কর্তৃক নিয়োগ পেয়ে বিগত দিন যাবৎ সিলেট কীনব্রীজ দক্ষিণ মোড় হতে চাঁদনীঘাট-ঝালোপাড়া-কদমতলী- মুক্তিযোদ্ধা চত্বর-গোটাটিকর-আলমপুর-কুশিঘাট হয়ে জকিগঞ্জ/সুতারকান্দি রোডের উভয় পার্শ্বে , ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত স্থানে মাপ ঝোক করা হচ্ছে। বর্তমান বিদ্যমান রোডের মধ্যখান হতে এক পার্শ্বে ৯৫ ফুট ও অন্য পার্শ্বে ৭৭ ফুট চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। চিহ্ন বরাবর ভুমি চার লেন রাস্তার জন্য অধিগ্রহন করা হবে বলে শুনা যাচ্ছে। যা সার্কভূক্ত রাস্তা হিসেবে পরিচিত হবে । ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের অভ্যান্তরে গণবসতিপূর্ন এলাকায় চিহ্ন মোতাবেক ভুমি অধিগ্রহন করলে অত্র এলাকার অনেক মসজিদ, কবরস্থান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি, মার্কেট, বিপনীবিতান, ইমারতসহ শিল্প কারখানা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। চার লেনের রাস্তাটি হযঃ শাহপরান (রঃ) ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ের মোড়, যা পীর হাবিবুর রহমান চত্বর হতে চন্ডিপুল চত্বর অথবা পীর হাবিবুর রহমান চত্বর হতে হাওরের মধ্য দিয়ে লালাবাজার হয়ে ঢাকা মহা-সড়ক এর সাথে মিলিত করে চারলেন রাস্তা তৈরি করলে বেচেঁ যাবে ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের অভ্যান্তরে থাকা মসজিদ, কবরস্থান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি, মার্কেট, বিপনীবিতান, ইমারতসহ শিল্প কারখানা। সেই সাথে সরকারের অধিক টাকার সাশ্রয় হবে। সিটি কর্পোরেশনের বাহিরে চারলেন রাস্তা নির্মাণ করলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলার সাথে যোগাযোগ সহজতর হবে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা আরো বলেন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সার্কভুক্ত চারলেন সড়কের চলমান ম্যাপে ঝালোপাড়াকে জিরো পয়েন্ট ধরা হয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ের এই বিশাল সড়কটি ক্বীনব্রীজ ঝালোপাড়া হয়ে শ্রীরামপুর বাইপাস পয়েন্টে যুক্ত হলে উভয় পাশের ২২ টি কবরস্থান, ৪টি মসজিদসহ প্রায় চার শতাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
সিলেট শেওলা সুতারকান্দি চার লেন সড়কের চলমান জরিপের ম্যাপে কদমতলী, গোটাটিকর, আলমপুর, গঙ্গানগর, খুশিঘাট ও কুচাই এলাকার কবরস্থান, মসজিদ ছাড়াও মাজার, মাদরাসা ও শত শত ঘরবাড়ি ভাঙা পড়বে। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের করে যাওয়া ম্যাপে ওই সড়ক নির্মাণ করলে অত্র কয়েক এলাকার ২২টি কবরস্থান, ৪টি মসজিদ, মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাসপোর্ট অফিস, সিলেট ডিআইজি অফিস, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, বিসিক শিল্পনগরী, স্কুল কলেজ, সরকারি বেসরকারি নানা অফিস, অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি বেঁচে যায়। শত শত বছরের পুরনো কবরের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করলে আমাদের বুক ভেঙে যাবে।
দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ১০৫ ফুটের বড় সড়কের প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, আমরাও চাই দেশে বিশ্বমানের এমন সড়ক হোক, তবে বাপদাদার কবরের উপর দিয়ে নয়। অবহেলিত দক্ষিণ সুরমাবাসীর উপর স্টিম রোলার আর চালাবেন না। শ্রীরামপুর সিরাজ উদ্দিন পয়েন্ট হয়ে হাবিবুর রহমান চত্বর হয়ে ওই অংশটুকু যেকোন দিকে নিয়ে যাওয়া হোক। আর ওই দিকে নিয়ে গেলে কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসা, সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাঙা পড়বেনা। অপরদিকে ওই অংশে সড়ক নির্মাণ করলে সরকারের অনের টাকা সাশ্রয় হবে। আমাদের দাবী শুধু ওই অংশ ম্যাপ থেকে পরিবর্তন করার। বাপদাদার কবরস্থান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে তারা দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ নজর দেয়ার আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মকবুল মিয়া, লুলু মিয়া, ইসহাক মিয়া, হিরা মিয়া, হাজী গোলজার আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, সাংবাদিক বাবর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, এম এ মালেক, জাবেদ এমরান।
আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিব, দুলাল আহমদ, আলমগীর আহমদ, বেলাল আহমদ, মামুন আহমদ, সংগ্রাম আহমদ, রফিক আহমদ, সাজেদ আহমদ, জুনেদ আহমদ, জয়নাল আহমদ, জুনেল আহমদ, কমরু মিয়া, জুনেল আহমদ ২, এহিয়া মিয়া, আলী নূর, হায়দার আলী, আমীন আহমদ, জামাল মিয়া, কামাল মিয়া, লাহিন আহমদ ও ঝালোপাড়া, কদমতলী, গোটাটিকর, আলমপুর, গঙ্গানগর, খুশিঘাট ও কুচাই এলাকার ব্যক্তিবর্গ। সভা শেষে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়। ঈদের পর পুনরায় মতবিনিময় সভায় সকলের উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হয়। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।