সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর হাতে দায়িত্বরত, চিকিৎসক, নিরাপত্তাপ্রহরী ও লিফটম্যান লাঞ্চনার ঘটনায় ইন্টার্ন ডাক্তারদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি তারা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। সোমবার নগরীর মিরবক্সটুলাস্থ উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করন ডা. ইফাত আরা চৌধুরী। তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলাগ্রহন ও গ্রেফতারের দাবীতে সিলেটের সকল মেডিকেলের ইন্টার্ণ ডাক্তারদের কর্মবিরতি শুরুর আহ্বান জানান। তিনি জানান, উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তাররা ঘটনার পর থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। এছাড়া তারা উইমেন্সের সব ডাক্তারকে সোমবার দুপুর আড়াইট থেকে কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের সব মেডিকেলের সব ডাক্তারদের কর্মবিরতি, একই দিনে সিলেট বিভাগের সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে বিকাল ৪টা-৬টা পর্যন্ত প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখা, সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান, বিএমএ সভাপতি ও সম্পাদক, সিভিল সার্জন, ডেপুটি ডিরেক্টর (স্বাস্থ্য), বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদানের কর্মসূচিও গ্রহন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ডা. নিজাম আহমদ চৌধুরী, ডা. হিমাংশু শেখর দাস, ডা. ইশফাক জামান সজীব, ডা. জাবেদ আহমদ, ডা. রিপন, ডা. তিতাশ কুমার, ডা. সোলেমান বাবু, ডা. আফজাল, ডা. সুনান্ত, ডা. শুভ, ডা. জয়, ডা. আরাফাত রহমান, ডা. সাব্বির আহমদ, ডা. হরশিত বিশ্বাস, ডা. প্রবাল মাহবুব হৃদয়। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিলেট উইমেন্স মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেতা সরোয়ার হোসেন চৌধুরী তার এক বন্ধুকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস সংক্রান্ত জটিলতার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন এবং কর্তব্যরত ডাক্তরকে তার ১৫/২০ জন অনুসারির সামনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন। ডাক্তার নিশাত তাদের বেরিয়ে যাওয়ার কথা বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সরোয়ার ছুরি নিয়ে ডাক্তারের উপর হামলা ও তাকে ধর্ষনের হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে তারা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে সেদিনের বিস্তারিত ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন আক্রান্ত ডাক্তার ডা. নাজিফা আনজুম নিশাত। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।