স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের মালনীছড়া চা বাগান এলাকায় এক রোহিঙ্গা যুবকের হাতে তার মামী খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত জমিলা বেগম (৪৪) মালনীছড়া চা বাগান এলাকার সহির আলীর স্ত্রী। গতকাল বিকেল ৫ টায় এ ঘটনা ঘটে। মালনীছড়া চা বাগান এলাকার চা শ্রমিক নেতা জন্টু মালাকার জানান, মায়ানমার থেকে আসা মৃত আব্দুল মালিকের পুত্র দিলোয়ার হুসাইন লোহার রড দিয়ে তার মামীর মাথায় আঘাত করলে তিনি মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত সিলেট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় সিলেট কতোয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। থানার সেকেন্ড কর্মকর্তা এসআই ফজলুর রহমান বলেন, পলাতক ঘাতক দিলোয়ার হুসাইনের নেই কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র। তারা প্রাথমিক তদন্তে জেনেছেন, দিলোয়ার হুসাইন জন্মসূত্রে একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। তার বাবা মৃত আব্দুল মালিক মায়ানমার থেকে সিমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে বসবাস করতে থাকে। পরে ১৯৯৪ ইং সালে আব্দুল মালিক মৃত নুরজাহান আক্তার পান্নাকে বিয়ে করলে তাদের ঘরে জন্ম নেয় খুনি দিলোয়ার হুসাইন। পুলিশ দিলোয়ার হুসাইনের খোঁজে চারিদিকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি। কি কারণে মামীকে খুন করলো দিলোয়ার হুসাইন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে ঘটনার সূত্রপাতসহ সকল বিবরণ পরে জানাবো। এদিকে মালনীছড়া চা বাগান এলাকার বয়স্ক লোক হিমাংসু দাস বলেন, দিলোয়ার হুসাইনের বাবা মৃত আব্দুল মালিক মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে এসে সিলেট মালনীছড়া চা বাগান এলাকায় বসবাস শুরু করে। এরপর নুরজাহান আক্তার পান্নাকে বিয়ে করলে তাদের ঔরসজাত সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহন করে দিলোয়ার হুসাইন। দিলোয়ার হুসাইনের পিতা আব্দুল মালিক মারা যাওয়ার পর ২০০৩ সালে তার মা নুরজাহান আক্তার পান্না ও মারা যান। সেই থেকে দিলোয়ার হুসাইন মামা ও মামীর পরিবারে বড় হতে থাকে। তিনি আরো বলেন, দিলোয়ার হুসাইনের মামী প্রায় সময় দিলোয়ারকে ভাত দিতো না। বাইরে কাজ করে সেই টাকা এনে মামীর হাতে দিলে তখন মামী তাকে ভাত খেতে দিতো। থানার ওসি মোফাজ্জল হোসেন জানান, থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ মামলার সূত্রধরে দিলোয়ার হুসাইনকে গ্রেফতারের জন্য রেড এলার্ট জারী করবে। সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারবেনা।