সিলেট সুরমা ডেস্ক : এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানে নিহত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী মো. পলাশ আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তি তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে পলাশের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই বছরের ২৮ মার্চ র্যাব-১১ তাকে গ্রেপ্তারের পর অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে। সেই সময়ই র্যাবের ক্রিমিনাল ডাটাবেজে তার নাম তালিকাভুক্ত হয়।
মুফতি মাহমুদ জানান, ডাটাবেজের তথ্য অনুযায়ী তার নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরিজপুরে তার বাড়ি।
রোববার চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইট ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আলোচনার তুঙ্গে চলে আসে পলাশ।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের দুবাইগামী ওই উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেনা কমান্ডোদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদ।