সিলেট সুরমা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক ও বর্তমান দুই কাউন্সিলরসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার গভীর রাতে নগরীর নিতাইগঞ্জ নলুয়াপাড়া এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেন এবং মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান মুন্নার অনুসারীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ বাঁধে।
কবীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। আর ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুন্না বর্তমানে মসজিদ কমিটির সভাপতি। তাদের দুজনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের কমিটি নিয়ে কবীর ও কামরুলের মধ্যে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। রোববার সন্ধ্যায় কবীরের ভাগ্নে টিপু বর্তমান কমিটির কাছে টাকার হিসাব চাইলে তাকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেন মুন্নার অনুসারীরা।
এর জেরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কবির ও মুন্নার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দুই পক্ষের লোকজন অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পরস্পরের ওপর হামলা চালায়।
রাতের এই সংঘর্ষে কবির, নেয়ামত উল্লাহ, সুজন, সত্যজিৎ ও দুর্জয়সহ অন্তত দশজন আহত হন। তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলের পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকে বিরোধ চলছিল। মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বর্তমান, সাবেক কাউন্সিলরসহ ২২ জনকে আজ ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।