সিলেট সুরমা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর সাংবাদিকদের জানান, মৃত্যুদণ্ডের সাথে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
চার আসামির মধ্যে বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ ছাড়া একই গ্রামের রফিক, জায়েদ ও উপজেলা ব্রাহ্মণ জুলিয়া গ্রামের সুজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ কে এম শিবলী ও এ কে এম শামিউল আলম। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী।
ইমনের বাবা জহুর আলীর ছেলের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে।
৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। একজন ছাড়া গ্রেপ্তার করে জড়িত তিনজনকে। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।