সিলেট সুরমা ডেস্ক :: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ২০০৫ সালে ডাবল মার্ডার মামলার আসামীদের হামলায় সাক্ষী সিকান্দর আলী লাইফ সার্পোটে । গত ১০জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতেই পাথারিয়া ইউনিয়নের আসামুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এই হামলার ঘটনায় আহত রিয়াজ উদ্দিন ও সিরাজ উদ্দিন নামে দুই সহোদর সিলেট ওসমানী মেডিকেল এন্ড কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ইস্কান্দার আলী নামে অপরএকজন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ইস্কান্দার আলী, রিয়াজ উদ্দিন ও সিরাজ উদ্দিন আলোচিত জোড়া খুনের মামলার সাক্ষী। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১২/১৯।
হামলার ঘটনায় সিকান্দার আলী নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে । বর্তমানে আহত সিকান্দার আলী ঢাকা মেডিকেলে লাইফ সার্পোটে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাথারিয়া ইউনিয়নের আসামুড়া গ্রামের সমাইউল্লা ও দৌলত মিয়াকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। হত্যা মামলা নং-১২০/২০০৭। আসামীরা উক্ত মামলা আপোষ করার জন্যে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের গত কয়েকদিন ধরে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
এরই জেরধরে বৃহস্পতিবার রাতে বাজার থেকে ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাক্ষীদের উপর হামলা চালায় রোশন মিয়া, নবী মিয়া নবু, আব্দুল মান্নান, আবুল হোসেন(গেদা), ইকবাল, জমির হোসেন, সিরাই উদ্দিনসহ (১০-১২) জন তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ইস্কান্দার আলী, রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন ও সিকান্দার আলী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন নবু হোসেন, সিরাজ উদ্দিন, নোয়াজ আলী।
এ ঘটনার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই জগতজ্যোতি জানান, উক্ত ঘটনার ৩ জন আসামীকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত। আসামীদের বাড়ি থেকে দেশীয় কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান।
এ ব্যপারে মামলার বাদী রিয়াজ উদ্দিন জানান, বিবাদীগণ গত কয়েকদিন থেকেই ডাবল মার্ডার মামলার সাক্ষীদের আপোষ মিমাংসা করার জন্য ভয়-ভীতি দিয়ে আসছে। কিন্তু সাক্ষীগণ বিবাদীদের কথার না শুনার কারণেই এ হামালার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার প্রধান আসামীদেরকে এখনো পুলিশ আটক করতে পারেনি। তারা প্রসাশনের নাকের ডগাঁয় দিয়ে ঘুরাফেরা করছে বলে জানান তিনি।