সিলেট সুরমা ডেস্ক : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক রাজমিস্ত্রিকে প্রকাশ্যে ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা। এ সময় আরো ৫ জন যাত্রী আহত হন। নিহত ব্যক্তি মুকুল (৩০) গাইবান্ধা সদর উপজেলার ওজুদধরনিবাড়ি গ্রামের রেজাউর মিয়ার ছেলে। সে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর এলাকায় সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ উপজেলার গফরগাঁও ও মশাখালী রেলস্টেশনের মাঝামাঝি বাসুটিয়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুকুলের সঙ্গে থাকা ভুক্তভোগী অন্যযাত্রী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধায় নিজ বাড়ি যাওয়ার উদ্দ্যেশে নিহত মুকুল তার সহকর্মী আরো দুই শ্রমিক নিয়ে বুধবার সকালে বলাকা ট্রেনে যোগে সাতখামাইর স্টেশন থেকে কাওরাইদ ষ্টেশনে আসেন। কাওরাইদ ষ্টেশনে নেমে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের টিকিট কেটে অতিরিক্ত ভিড়ের কারনে ট্রেনের ছাদে উঠে পড়েন তারা। ট্রেনটি মশাখালী স্টেশন ছাড়ার পরপরই ৮/৯ জনের ছিনতাইকারী দল ট্রেনের ছাদে ভ্রমনরত যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতে থাকে। এ সময় যাত্রীরা বাধা দিতে চাইলে একটি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে।
মুকুল তার সঙ্গে থাকা টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপর তার গলায় ছুরি ধরে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মুকুলকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। কয়েক মিনিট পর ট্রেনটি গফরগাঁও ষ্টেশনে পৌঁছালে ছিনতাইকারীদল নির্বিঘেœ ট্রেন থেকে নেমে চলে যায়। মুকুলের সঙ্গে থাকা যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বাসুটিয়া এলাকা থেকে মুকুলকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
মুকুলের সহযাত্রী গাইবান্ধা সদর উপজেলার আর্দশগ্রাম এলাকার রাজম্স্ত্রিী ফিরোজ কবীর (১৭) জানায়, মশাখালি ষ্টেশন থেকে এরা ছাদে উঠে। মশাখালী স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পরপরই এরা ছিনতাই শুরু করে। আমাদের তিনজনের কাছ থেকে প্রায় ২২ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। যে যাত্রী বাধা দিয়েছে, তাদেরকেই এরা মারধর করেছে। মুকুল বেশী বাধা দেওয়ায় মুকুলকে চলন্ত ট্রেন থেকে এরা ফেলে দেয়।
ময়মনসিংহ জিআরপি থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টির খোঁজ নেওয়ার জন্য গফরগাঁও জিআরপি পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রায়ই ঢাকা-গফরগাঁও ট্রেনের ছাদে ছিনতাই হচ্ছে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলেও জানান তিনি।