সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিয়ের পরে সন্তান গ্রহণে অমত এহেন সমস্যার কারণে একটু দেড়িতে মা হওয়ার ঘটনা অনেক রয়েছে । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কখনও ভেবেছেন যে একটা মেয়ে মাত্র ৫ বছর বয়সেও একজন সন্তানের মা হতে পারে। যেখানে সন্তান গ্রহণ তো দূরের কথা বিয়ের জন্য মেয়ে এবং ছেলেদের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেখানে এমন ঘটনা তো অবাক করার মতনই বটে। কিন্তু তা বলে আবার ভেবে বসবেন না এটা কোন মনগড়া কাহিনী।
এমনটা কিন্তু সত্যিই হয়েছে কায়রোর বাসিন্দা মেডিলার সঙ্গে। ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণের পর এই মহিলার পেটে সন্তান আসে মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই তাঁর পরিচয় ছিল তিনি এক সন্তানের মা।মেডিলার যখন ৫ বছর বয়স তার পেটের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখে তার বাবা মা বড় কোনো রোগের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় সে ৭ মাসের গর্ভবতী।
সবাই ব্যাপারটায় চমকে যায় রীতিমতো, ডাক্তার নিজেও ভরসা করতে না পেরে অন্য বড় ডাক্তারদের জানালেও তারা একইই কথা বলেন। তারা পরীক্ষা করে জানান যে মাত্র আড়াই বছর বয়স থেকেই মেডিলার ঋতুস্রাব শুরু হয়। যা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। এই ঘটনার কয়েকমাস পরে মেডিলা সন্তানের জন্ম দেয় সিজারের মাধ্যমে কারন স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য তার শরীর প্রস্তুত ছিল না। সন্তানটিকে তার বাবা ১০ বছর পর্যন্ত মেডিলার ভাই হিসাবে পরিচয় দেয় সেই সন্তানের কাছে। মেডিলার সন্তান ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিল।
মেডিলা কখনো জানায় নি তার সন্তানের বাবা কে, ওই বয়সে সে বোঝারো অবস্থায় ছিল না হয়ত বিষয়টি। মেডিলার বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পরে কোনো প্রমান না পেয়ে ছেড়ে দেয়। মেডিলার পরবর্তীকালে বিবাহ করেন এবং তার স্বামীর সাথে এখনো পর্যন্ত সংসার করছেন। আবার অনেকের মতে মেডিলার বাবা নয় এক্ষেত্রে অন্য কোনো পুরুষের নিশ্চই হাত রয়েছে।
এই ঘটনাটি বেশ কয়েকদিন ধরেই চেপে রেখেছিলেন মেডিলা। কিন্তু একসময় প্রকাশ্যে আসতে তীব্র প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল। অনেকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রশাসনকে যে এই ব্যপারে খতিয়ে দেখতে এবং মেডিলার সাথে আদও কোনো জোরজাবস্তি হয়েছে কিনা সেই ব্যপারেও তদন্তে নামতে। কিন্তু প্রশাসন তা করেনি বলেই অনেকের দাবি।