সিলেট সুরমা ডেস্ক : স্কুলের শিক্ষিকার সাথে প্রেম তারপর সেই শিক্ষিকা’কে নিয়েই চম্পট দিল ছাত্র- এমনই এক ঘটনার স্বাক্ষী থাকল হরিয়ানার এক স্কুল। অভিযুক্ত ছেলেটির বয়স মাত্র ১৫ বছর। অভিযোগের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাম বিশাল শেঠ। অন্যদিকে স্কুল শিক্ষিকা দিনবালা ভাটিয়ার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনও।
স্থানীয় সূত্র মতে, গত সোমবারই ঘটেছে এমন ঘটনা। শিক্ষিকার সাথে নাকি বেশ অনেকদিনেরই অবৈধ সম্পর্ক ছিল ছাত্রের। স্কুলে ত বটেই সঙ্গে আলাদা করে টিউশান ব্যাচেও নাকি দিনবালার কাছে পড়তে যেত বিকাশ। আর সেই সূত্রেই তাদের অবৈধ সম্পর্ক সকলের চোখ এড়িয়ে বেড়ে উঠছিল।
স্কুলের বাইরে টিউশনের বাইরে তাঁরা একে অপরে বহুবার ডেট করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে অবশ্য জানিয়ে রাখা দরকার যে সাধিসুধা দিনবালার স্বামী এবং বিকাশের পরিবারের কেউই এতদিনে এসবের কিচ্ছুটি টের পায়নি। তবে তাদের নাকি অনেকসময় একসঙ্গে দেখেছে বিকাশের বহু সহপাঠিরা। গত কয়েকমাস ধরে তাদের সম্পর্কে নাকি ঘনিষ্ঠতা বেশ বাড়ছিল।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ক্লাসে আসত না বিকাশ। অন্যদিকে স্কুলে শিক্ষিকা দিনবালার হাজিরাও নাকি কমতে দেখা যাচ্ছিল গত এক মাস ধরে। সেই সময় বিভিন্ন জায়গায় তাদের একসাথে ঘুরতে নজরে পরেছিল অনেকের। প্রথমদিকে এ ব্যপারে কেউ গা করেনি। মূল ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যখন স্কুলে এই খবর এসে পৌঁছায় যে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি বিকাশ। অন্যদিকে একই সঙ্গে নিঁখোজ শিক্ষিকা দিনবালা দেবীও।
শুরু হয় পুলিশি তল্লাশি। এক বস্তি থেকে উদ্ধার করা হয় বিশালকে। সন্দেহের বশে তাকে পুলিশ জেরা করলে বুঝতে পারেন বিশাই সড়িয়েছে দিনবালা দেবী’কে। বিশালের ফোন ঘেঁটে নিঁখোজ শিক্ষিকাকে করা অনেক উষ্ণ এসএমএসও পাওয়া যায়। ফলত এই ব্যপারটা পুরো পরিষ্কার হয়ে যায় যে তাঁকে কেউ সড়ায়নি বিকাশ ছাড়া। তবে পুলিশ বিকাশকে গ্রেপ্তার করলেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বিকাশের এখনও কোনোরকম শাস্তি হয়নি। অন্যদিকে একই কারণে খুঁজে পাওয়া যায়নি শিক্ষিকাকেও।
বিকাশও নাছড় যে সে নাকি সড়ায়নি দিনবালা দেবীকে। এক্ষেত্রে বিকাশের দাবি যে ” আমার সাথে দিনবালা ম্যাডাম খুব খোলাখুলি ভাবে মেশে তবে আমার সাথে ম্যামের কোনোরূপ কোনো বাজে সম্পর্ক ছিলনা, ম্যাম এখন কোথায় আছে তাও আমি জানিনা।” বিকাশের কথা অনুযায়ী সে নাকি বাড়ির বাবা মায়ের চাপে বেশ কয়েকদিন ঘর ছাড়া হয়ে ছিল সে।