সিলেট সুরমা ডেস্ক : একাদশ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনে ৫২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ে ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ৪০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গণ্য হয়। পরে আপিলে আরও চার জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়। তবে দলের প্রতীক না পাওয়ায় বিএনপির তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়।
রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন ৯ প্রার্থী। এখন নির্বাচনে লড়বেন ৩২ জন প্রার্থী।
সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা যেসব প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন, সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, নজির হোসেন (বিএনপি) ধানের শীষ, মুফতি ফখর উদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন) হাতপাখা, বদরুদ্দোজা সুজা (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) হারিকেন ও আমান উল্লাহ আমান (জাকের পার্টি) গোলাপফুল।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে ড. জয়া সেন গুপ্তা (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন নৌকা, নাছির উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি) ধানের শীষ, নিরঞ্জন দাস খোকন (কমিউনিস্ট পার্টি) কাস্তে, গোলজার আহমদ (গণতন্ত্রী পার্টি) কবুতর, মাও. আব্দুল হাই (ইসলামী আন্দোলন) হাতপাখা ও মাহমুদ হাসান চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) হারিকেন।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে এম এ মান্নান (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন নৌকা, শাহীনুর পাশা চৌধুরী (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম) ধানের শীষ, মহিবুল হক আজাদ (ইসলামী আন্দোলন) হাতপাখা, মাহফুজুর রহমান খালেদ (এলডিপি) ছাতা, শাহজাহান চৌধুরী (জাকের পার্টি) গোলাপফুল ও সৈয়দ শাহ মুবশ্বির আলী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) হারিকেন।
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ (জাতীয় পার্টি) পেয়েছেন লাঙ্গল, মো. ফজলুল হক আছপিয়া (বিএনপি) ধানের শীষ, তানভীর আহমদ তাসলিম (ইসলামী আন্দোলন) হাত পাখা, দিলোয়ার হোসেন (এনএনপি) আম, মোহাম্মদ আজিজুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস) রিকশা, আল হেলাল (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) হারিকেন ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র) সিংহ।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন নৌকা , মিজানুর রহমান চৌধুরী (বিএনপি) ধানের শীষ , নাজমুল হুদা হিমেল (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল, আবদুল ওদুদ (ন্যাপ) কুঁড়েঘর , আয়ুব করম আলী (গণফোরাম) উদীয়মান সূর্য, মাও. হুসাইন আল হারুন (ইসলামী আন্দোলন) হাতপাখা, মাওলানা সফিক উদ্দিন (খেলাফত মজলিস) দেওয়াল ঘড়ি ও আশরাফ হোসেন (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীক পেয়েছেন।