• ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঝন্টু ও ফিরোজ গ্রুপের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ দুই মরদেহ ও অস্ত্র-মাদক উদ্ধার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
ঝন্টু ও ফিরোজ গ্রুপের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ দুই মরদেহ ও অস্ত্র-মাদক উদ্ধার

সিলেট সুরমা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ফিরোজ হোসেন (৪২) ও ঝন্টু (৪৫) নামের দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার গোবিন্দহুদা মাঠ থেকে এ দুইটি মরদেহ ও অস্ত্র-মাদক উদ্ধার করে বলে দাবি করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস।

তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঝন্টু ও ফিরোজ গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে তারা মারা যেতে পারেন। তবে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

নিহত ফিরোজ ওরফে ধুলো দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে এবং ঝন্টু একই উপজেলার দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ছটাঙ্গার মাঠ থেকে তাদেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে এলাকাবাসী গুলির শব্দ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতলে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে কয়েকজন স্থানীয় লোক এসে তাদের চিহ্নিত করে। নিহত ফিরোজ ওরফে ধুলো এলাকার একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার নামে দামুড়হুদা থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া নিহত ঝন্টু একজন মাদক সম্রাট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক কারবারিদের তালিকায় ঝন্টুর নাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে থানায়।

ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, দুইজনই দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঝন্টু ও ফিরোজ গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি শার্টগান, ২টি গুলির খোসা, ৪টি বোমা, ৩ বস্তা ফেনসিডিল ও ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।