বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সিলেট শাখার নবম বার্ষিক সাধারন সভা ও তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের এমআরপি এবং ওয়ারেন্টি নীতিমালা বিষয়ক মতবিনিময় সভা গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর মিরবক্সটুলা একটি অভিযাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ দিন দিন আইটি নির্ভর হয়ে পড়ছে। এভাবে তারা যদি আইটি নির্ভর হয়ে পড়েন তাহলে সিলেট হবে দেশের একমাত্র উন্নত আইটি নগরী। ইতিমধ্যে সিলেটকে আইটি নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আইটিখাতের উন্নয়নের জন্য একটি বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই ভবন নির্মাণ হলে সিলেট আইটি খাতের একটি মডেল নগরীতে পরিণত হবে। ব্যবসায়ীরা দেশ বিদেশের নানা প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে পারবেন ওই ব্যবসার মাধ্যমে। সিলেটকে স্মার্ট নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে বলে জানান মেয়র।
সমিতির সিলেট শাখার চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুস চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এএসএমজি কিবরিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অথিতির বক্তব্য দেন বিসিএস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, সহ সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, পরিচালক শাহিদ উল মুনির, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, স্মার্ট টেকনোলজির পরিচালক মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, গ্লোবাল ব্রান্ড প্রাইভেট লিমিটেডর মহা ব্যবস্থাপক সমির দাস, সিলেট শাখার ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বিন আব্দুর রশীদ, জয়েন সেক্রেটারি তারেক হাসান, কোষাধ্যক্ষ পার্থ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য মুজিবুর রহমান স্বাধীন, আহমেদ মাসুদ হায়দার জালালাবাদী প্রমুখ।
এর আগে নবম সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কার্যকরী কমিটির নানা কর্মসুচি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি আইটি আইনের দিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। পরে ২০১৮-২০১৯ সালের বাজেট উপস্থাপন করা হয়।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এখন কম্পিউটারে যে যত পারদর্শী সে তত এগিয়ে। তাই সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার বাড়াতে হবে। কম্পিউটার এখন বেচেঁ থাকার একটি উপকরণ বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
সভায় বিসিএস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নানাবিধ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করছে। এই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুলাই চালু হয়েছে ‘এমআরপি নীতিমালা ২০১৮’ এবং ‘ওয়ারেন্টি নীতিমালা ২০১৮’। দেশব্যাপী এমআরপি নীতিমালা ২০১৮ ও ওয়ারেন্টি নীতিমালা ২০১৮ অধিকতর কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বিসিএস কার্যনির্বাহী কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি ।