• ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দশ বছরে বেড়েছে ব্যাংক ব্যালেন্স, শেয়ার, নগদ টাকার পরিমাণ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
দশ বছরে বেড়েছে ব্যাংক ব্যালেন্স, শেয়ার, নগদ টাকার পরিমাণ

সিলেট সুরমা ডেস্ক : ২০০৮ সালে নুরুল ইসলাম নাহিদের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২১লাখ ৫৭হাজার ১১টাকা। দশ বছরের ব্যবধানে নাহিদের অস্থাবর সম্পদ প্রায় ৭গুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১কোটি ৫৮লাখ ৫৭হাজার ৯১১টাকা। এই দশ বছরে সিলেট-৬ আসনে সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নাহিদ।

এবারো একই আসনে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও এবার নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দুই হলফনামা থেকে নাহিদের এই সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে।

এই দশ বছরে বেড়েছে নাহিদের ব্যাংক ব্যালেন্স, শেয়ার, নগদ টাকার পরিমাণ।

দশ বছর আগে হলফনামায় নাহিদ নিজের পেশা কৃষি হিসেবে উল্লেখ করেন। তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিলো ৩লাখ ৬৯হাজার ৯৩৫টাকা। এবার নিজের পেশা ‘রাজনৈতিক কর্মী’ উল্লেখ করা নাহিদের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬লাখ ৩০হাজার ২০৫টাকা।

২০০৮ সালের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণের কথা উল্লেখ করলেও এবারের হলফনামায় স্ত্রীর স্বর্ণের মূল্য তাঁর জানা নেই বলে উল্লেখ করেছেন। ২০০৮ সালে নাহিদের হাতে নগদ ছিল ৪৭ হাজার টাকা। এবার আছে ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৫ টাকা। ২০০৮ সালে নাহিদের ব্যাংকে ছিল ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৯ টাকা। এবার আছে ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৮৩ টাকা। ২০০৮ সালে সঞ্চয়পত্র ছিল নিজ নামে ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৪১২ টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকার। এবার আছে নিজ নামে ২০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। ২০০৮ সালে কোনো গাড়ির কথা উল্লেখ না থাকলেও এবার ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩২১ টাকার গাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের সমপরিমাণ ৭৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার এবারও আছে নাহিদের।

২০০৮ সালে ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল ১ লাখ টাকার। এবার রয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী। তবে বৃদ্ধি পায়নি আসবাবপত্রের পরিমাণ। ২০০৮ সালে যা ছিল তাই আছে। উভয় হলফনামায় উল্লেখ করেছেন নাহিদের নামে ৪৫ হাজার ও স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

২০০৮ সালে ঢাকায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ কাঠা জমি রয়েছে উল্লেখ করেছিলেন। এবার উল্লেখ করেছেন ৫ কাঠা বা ০.০৮২৫ একর, যার মূল্য ২১ লাখ ৮ হাজার ৪৪০ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় নাহিদ উল্লেখ করেছিলেন বিভিন্নজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসেবে পেয়েছিলেন।

এর মধ্যে ছিল স্ত্রী কে ইউ জোহরা জেসমিনের কাছ থেকে ১ লাখ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই ডা. নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাচা হাজী মাহমুদ আলীর কাছ থেকে ১ লাখ, ড. আহমদ আল কবীরের কাছ থেকে ২ লাখ ও কামাল আহমদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা পেয়েছিলেন।

তথ্য সূত্র লিংক সংযুক্ত-সিলেট টুডে২৪