সিলেট সুরমা ডেস্ক : আমরা জানি যে আমাদের ভারতবর্ষ হলো দরিদ্রতম দেশ । কারণ আমাদের দেশে দারিদ্রতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি । কিন্তু এই যে দারিদ্রতা সমস্যা এটা ভবিষ্যতেও কোনদিন ও সমাধান হবে কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ আছে । আমাদের দেশে ধনী ব্যক্তি ও রয়েছে প্রচুর আর যারা ধনবান তাদের ধনসম্পত্তি দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে টাকা-পয়সার অভাব তো দূরের কথা টাকা পয়সা আরো বেশি পরিমাণে বেড়ে চলেছে । অথচ যারা গরীব যাদের টাকা পয়সার অভাব তারাই ভিক্ষা করে কোনরকমে পেট চালাচ্ছে ।
তিসি দরিদ্রদের ভিক্ষা করাটাই যেন একটা পেশায় পরিণত হয়েছে । তাই দেশে এখন অনেক পেশাদার ভিক্ষুক কেও দেখা যায় । আমরা অনেকেই যখন রাস্তায় কোনো ভিখারিকে ভিক্ষা করতে দেখি তখন কিছু না কিছু সাহায্য নিশ্চয়ই করে থাকি । তবে আজকে এই প্রতিবেদনটি পড়লে আপনারা সত্যিই অবাক হয়ে উঠবেন। আমাদের দেশে এরকম অনেকেই রয়েছে যারা ভিক্ষাবৃত্তিতে একটা পেশা হিসেবে নিয়েছে । হ্যাঁ প্রথমে হয়তো তারা দরিদ্র ছিল কিন্তু তারপর থেকে অবস্থার পরিবর্তন হলেও ভিক্ষা করা ছেড়ে দেয় নি ।
আমাদের দেশে এই ভিক্ষা করাটাও এক একটি অফিস এর মত কাজ করে । প্রত্যেকটি অঞ্চলে একটি করে গ্যাং লিডার থাকে যারা বিভিন্ন জায়গায় ভাগ করে ভিক্ষা করতে পাঠায় এবং যে রোজগার হয় সারা দিনে সেগুলো দিনের শেষে ওই লিডার এর কাছে জমা পড়ে তারপর সেগুলো কে ভাগ করে বিলিয়ে দেওয়া হয় ।
তাই জন্য যারা প্রথমে দরিদ্র থাকলেও এখন হয়তো দরিদ্র সীমার উপরে উঠেছে তা সত্বেও তারা তাদের পেশা যেটা ভিক্ষা করা সেটা ছেড়ে উঠতে পারেনি । তাহলে দেখা যাক এরকম কতগুলো ধনী ভিখারিদের পরিচয় । যাদের নিজেদের বাড়ি ব্যাংকে টাকা পয়সা সব কিছুই রয়েছে তা সত্ত্বেও তারা তাদের পুরনো অবস্থানেই রয়েছে ।
১) ভরত জৈন : মুম্বাই বসবাসকারী এই ভিকারী টির বয়স হলো ৪৯ বছর । এদের নিজের থাকার জায়গা বলতে প্রায় ৭০ লাখ টাকার দুটো আলাদা আলাদা অ্যাপার্টমেন্ট আছে । শুধু তাই নয় তার মাসিক আয় প্রায় ১০ হাজার টাকা হয় একটা ভাড়া দেওয়ার জুসের দোকান থেকে ।
সে তার প্রথম জীবন যুদ্ধ ভিক্ষা করে শুরু করেছিল তাই এখনো সে ভিখারী হিসেবে রোজগার করে এবং ভিক্ষা করে সে প্রায় মাসে ৬০ হাজার টাকা পায় । এই পেশাদার ভিখারিটির বাড়িতে রয়েছে বাবা ভাই এবং স্ত্রী আর তার দুই সন্তান একজন দশম শ্রেণীর ছাত্র আরেকজন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
২) কৃষ্ণা কুমার গিতে : কৃষ্ণ কুমার সিপি টেক্স অঞ্চলের ভিক্ষুক হিসেবে পরিচিত । তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে পেশাগতভাবে ভিক্ষা করে রোজগার করে থাকে । এখন এই ভিকারী টি তার অর্থ সঞ্চয় করে মুম্বাইয়ের একটি ফ্ল্যাটের মালিক এ পরিণত হয়েছে । তার সমস্ত অর্থের দেখাশোনা তিনি একা করেন না তার ভাই ও তাকে সাহায্য করে ।
৩) সারভাটিয়া দেবী : পাটনা তে অবস্থিত অশোক সিনেমা হলে পিছন দিকে তিনি পেশাগতভাবে ভিক্ষে করে থাকে । প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি ভিক্ষে করার কাজ করছেন তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি এই কাজ শুরু করেন । তবে বর্তমানে তার এত টাকা সঞ্চিত রয়েছে যে তিনি ৩৬ হাজার টাকা ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম জমা দিতে পারে। কিন্তু তিনি তার এই পেশা বন্ধ করেনি এখনো বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে তিনি ভিক্ষা করেই থাকেন ।