সিলেট সুরমা ডেস্ক : শেষপর্যন্ত দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা না মানলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদ্রোহ মানেই বহিষ্কার।’
সোমবার (২৬ নভেম্বর) ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কৌশল বোঝার জন্য আপাতত মহাজোটের পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিপক্ষের যে স্ট্র্যাটেজি, যে কৌশল সেটাও তো আমাকে দেখতে হবে।’
গত রোববার থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেওয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সেদিনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে মহাজোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সে উপলক্ষেই আয়োজন করা হয় এই সংবাদ সম্মেলনের। যার শুরুতেই কৌশলগত কারণে আপাতত মহাজোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। প্রার্থিতা স্ক্রুটিনিং যেদিন শেষ হবে তার পরের দিন আমাদের জোটের তালিকা প্রকাশ করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিপক্ষের যে স্ট্র্যাটেজি, যে কৌশল সেটাও তো আমাকে দেখতে হবে। আমি কৌশলে মার খেতে চাই না। কৌশলেও আমাকে এগিয়ে যেতে হবে।’
কয়েকটি আসনে দুজন করে এখন পর্যন্ত ২৩১টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির ঐক্যফ্রন্ট এখন নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে।’ তিনি বলেন, ‘কামাল হোসেন সাহেব সিইসির পরিবর্তন চান। এক মাস পর নির্বাচন, এরমধ্যে সিইসির পরিবর্তন যারা চান তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান- এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’
জোটের শরিক দলগুলোকে ৬৫ থেকে ৭০টি আসন দেওয়া হতে পারে বলে আবারও জানান তিনি।