সিলেট সুরমা ডেস্ক : ছাতকে দোলারবাজার ইউনিয়নে গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহত ২৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে বারগোপি পূর্বপাড়া ও বারগোপি পশ্চিমপাড়ার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলতে শুক্রবার বিকেলে পূর্ব পাড়ার জমির উদ্দিন মেম্বার, লিটন মিয়া, হদিস আলী, পশ্চিমপাড়ার ছেলেদের বাধা দিয়ে মাঠ থেকে উঠিয়ে দেয়। সকালে পশ্চিমপাড়ার ছেলেরা গ্রামের লুৎফুর রহমান, খাদিমুল ইসলাম ও এখলাছ মিয়ার নেতৃত্বে মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে তাদের উপর হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পাড়ার লোকজন তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র, ইট পাটকেলের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রের ও ব্যবহার করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন মহিলাসহ অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ রুবেল মিয়া (২২), সোহাগ আহমদ (২৫), রুমেল আহমদ (২০), সাকির আলী (৩৮), হেলাল আহমদ (৪০), রুসনা বেগম (৩৫), সাজ্জাদুর রহমান (৩৫), মিজানুর রহমান (৪০), রুবেল আহমদ (২৫), জাকির আলী (২২), নুরুল আমিন (৪২), ছমির উদ্দিন (৫০), আহমদ আলী (৩৫), লায়েক আহমদ (৩৫), শফিকুর রহমান (৫০), রিপন (২৫), ছয়ফুল আলম (৩০), জুনেদ হাসান (২৬), সুয়েব মিয়া (২০), নুর আলম (৩০) সহ ২৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জাহিদপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফুর রহমান জানান, পুলিশের উপস্থিতিতেই এক পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের উপর গুলি ছুঁড়েছে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এলাকার লোকজন সংঘর্ষের পর সংঘর্ষে ব্যবহারকৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মিছিল করেছে। পুলিশ তাৎক্ষনিক অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালালেও কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। তবে দ্রুত অস্ত্র উদ্ধারে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।
ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।