সিলেট সুরমা ডেস্ক : ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর গ্রামে বোনের উতেক্ত্যকারীদের হাতে প্রাণ হারালেন রনি পাল নামে এক যুবক। এ সময় হামলাকারীরা বোন শর্মীলি পালকে আহত করার পাশাপাশি ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ২০ মে ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রনি পাল ঐ গ্রামের রতিশ পালের ছেলে। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়। একই এলাকার ওসমানীনগর উপজেলার বর্তমান সরকার দলীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাজপুর বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল শর্মীলি পালকে ধর্মান্তরিত করে জোরপূর্বক বিয়ে করার জন্য হয়রানী করে আসছিলো। বোনকে হয়রানী করার প্রতিবাদ করায় ক্ষেপে উঠে সোহেল ও তার বাবা ভুমিখেকো কালা মোল্লা। সোহেল ও তার বাবা কালা মোল্লা বিভিন্নভাবে শর্মীলি পালের পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করার পাশাপাশি তাদের ভু-সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ মে কালা মোল্লার ছেলে সোহেল ,সুন্দর আলীর ছেলে মোক্তার আলী, লতিফ মিয়ার ছেলে সফিক মিয়া,হাজী ইসকন্দরের ছেলে লেবু মিয়া, মৃত রইছ আলীর ছেলে আনা মিয়া, মৃত শাহ আব্দুল করিমের ছেলে সাবুল মিয়াসহ অন্যান্যরা আচমকা হামলা চালায় শর্মীলি পালের বসতবাড়িতে। হামলাকারীরা শর্মীলি পালকে ঘর থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠা করলে শর্মীলি পালের ভাই রনি পাল এগিয়ে এসে বাধাঁ দেন। এ সময় হামলাকারী মোক্তার দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রনির মাথার পেছনে আঘাত করলে রনি মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন। হামলাকারীরা শর্মীলি পালের বসতঘরের ভেতর ব্যাপক ভাংচুর করে। পুরো বাড়িতে চিৎকার চেচামেচি শুরু হলে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসেন। লোকজন দেখে সোহেল ও তার সাথীরা পালিয়ে যায়। অপরদিকে গুরুতর আহত রনিকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় গতকাল নিহত রনি পালের বাবা রতিশ পাল বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রনি পালের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।