• ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বড়লেখায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুস শহীদ (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ৮
জন আহত হয়েছেন। গত ১ অক্টোবর সোমবার উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের করমপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী সোনাই নদীর তীরের ধান চাষের জমিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুস শহীদ উপজেলার করমপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আয়মুছ আলীর পুত্র। খবর পেয়ে বড়লেখা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

আহতরা হলেন- নিহত আব্দুস শহীদের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আয়মুছ আলী (৬০), তাঁর ছেলে ইবন আহমেদ (২১), আয়শা বেগম (৩৩), আব্দুর রহমান (৪০), আব্দুল ছাত্তার (৩৭), মনফর আলী (৫২), আব্দুল কাদির (৩৭) ও মাসুক উদ্দিন (৪৫)। আহতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আয়মুছ আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ হয়েছে। অন্যদের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহত আব্দুল কাদির ও মাসুক উদ্দিন বড়লেখা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ দাস তালুকদার বলেন, করমপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আয়মুছ আলীর ছেলে নিহত আব্দুস শহীদের সাথে একই গ্রামের মৃত ময়ুব আলী মেম্বারের পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। একই জমি উভয়পক্ষ তাদের নিজেদের মালিক দাবি করে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র ইতিমধ্যে শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটনের কাছে হস্তান্তর করেছেন। চেয়ারম্যান বিষয়টা মীমাংসা করা চেষ্টা করছেন, কিন্তু বিষয়টি মধ্যস্থতায় থাকা অবস্থায় আব্দুস শহীদ ও তাঁর বাবা-ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়দের নিয়ে উক্ত জমিতে ধান রোপন করতে গেলে এ সংঘর্ষ বাধে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষের সাথে সম্পৃক্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেননি বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে কথা বলতে জমির মালিকানা দাবি করা ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও করমপুর গ্রামের বদরুল আহমদের সাথে বারবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তাঁর বড়ভাই কবির আহমদ বলেন, মেম্বার দুই দিন আগে অফিসিয়াল কাজে ঢাকা গেছেন।

উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন অবস্থায় এ হতাহতের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার পেছনে কার কিভাবে ভূমিকা আছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। তাঁর পরিষদের সদস্য বদরুল আহমদকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করছেন নিহতের পরিবার, এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসবে।