সিলেট সুরমা ডেস্ক : এবার মাদ্রাসায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার একটি ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে পাঁচজন। অভিযুক্তদের তালিকায় পাঁচজন ছাড়াও রয়েছে মাদ্রাসার ম্যানেজার। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। শনিবার (০৪ আগস্ট) ভারতের উত্তরপ্রদেশের ঘোসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।।
নির্যাতিতার মা জানান, মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, তখনই তাকে মাদ্রাসার একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখে ম্যানেজারের ভাই। এরপর পাঁচজন মিলে নারকীয় অত্যাচার চালায় নাবালিকার উপরে। পুলিশকে জানানো হলে খুন করা হবে এমন হুমকিও দেয়া হয়। সেই সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে রেখে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেইলও করছিল।
এদিকে ঘটনার দিন রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকরা নাবালিকাকে হাসপাতালে ভরতি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেই বুঝতে পারেন ধর্ষিতা হয়েছে নাবালিকা। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। নির্যাতিতার বক্তব্যের ভিত্তিতে পাকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
রাজ্য সংখ্যালঘু দপ্তরের কাছে অভিযোগটি পৌঁছেছে। ঘটনার তদন্ত করে জেলাশাসককে একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে সংখ্যালঘু দপ্তর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন্দ্র শ্রীবাস্তব জানান, নির্যাতিতা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে। খুব শিগগিরিই তার শারীরিক পরিস্থিতির যাবতীয় রিপোর্ট চলে আসবে। ধর্ষণের অভিয়োগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বিহারে স্কুলের মধ্যে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিল নাবালিকা। শুধু যৌন হেনস্তাই নয়, দিনের পর দিন লাগাতার ধর্ষিতা হয় ওই খুদে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার ছেলে।
এর আগে তামিলনাড়ুতে টানা সাতমাস ধরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার হয় নাবালিকা। অভিযুক্তরা নির্যাতিতার আবাসনের মালি, লিফট অপারেটর, নিরাপত্তারক্ষী, কলের মিস্ত্রি ও ইলেকট্রিকের মিস্ত্রি।
ঠিক এই ঘটনার আগে হিমাচল প্রদেশে এক মন্দিরের মধ্যে ধর্ষিতা হয় নাবালিকা। অভিযুক্ত মন্দিরের পুরোহিত। তার আগে মান্দাসৌর গণধর্ষণ, আসিফা গণধর্ষণ ও গুজরাটে গণধর্ষণের পর নাবালিকাকে কুপিয়ে খুন। মুড়িমুড়কির মতো বাড়ছে গণধর্ষণের ঘটনা। নির্ভয়া কাণ্ডের সুপ্রিম রায়ও অভিযুক্তদের মনোবৃত্তিকে বদলাতে পারেনি।