• ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীতে শিক্ষকের উদাসীনতায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ফেল

প্রকাশিত এপ্রিল ৮, ২০১৫
নোয়াখালীতে শিক্ষকের উদাসীনতায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ফেল

সিলেট সুরমা ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের এক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের শিক্ষকের উদাসীনতা ও অদক্ষতার কারণে ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ইকবাল হাসান মাহমুদ (১৭) বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে লিখিত সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু তার আইসিটি বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার স্কুল থেকে বোর্ডে পাঠানো হয়নি। ভুক্তভোগী ছাত্র ও তার পরিবার সূত্রে শিক্ষকের উদাসীনতার বিষয়টি উঠে এসেছে।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্কুলের শিক্ষকের কোন ভুল হয়নি। শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে আইসিটি বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার কেন্দ্রে পাঠিয়েছে, এটি কেন্দ্রের ভুল।এ বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব আবু মো.জাফর মোহাম্মদ নুরুল আমিন জানান, এই পরীক্ষার্থীর আইসিটি ব্যবহারিক ,শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক, ক্যারিয়ার শিক্ষার ব্যবহারিক নাম্বার কেন্দ্র সচিবের কাছে আসেনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, এই ছাত্র মনে হয় অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল। এ সময় কেন্দ্র সচিব শিক্ষার্থীকে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।অন্যদিকে, কেন্দ্র সচিবের বক্তব্যের অসঙ্গতি পায় এই প্রতিবেদক। কেন্দ্র সচিব তার তথ্য অনুসারে এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করে, পরীক্ষার্থী শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি। পরবর্তিতে অনলাইনে প্রাপ্ত ফলাফল শীটে দেখা যায়, শারীরিক শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনা গণমাধ্যম কর্মিদেরকে অবহিত করলে সহকারী প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক ছাত্রের সাথে উগ্র আচরণ করে।পরীক্ষার্থী মাহমুদ জানায়, ওমর ফারুক স্যার তখন আমাকে বলেছিল তোমার ব্যবহারিক পরীক্ষার নাম্বার বিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে তিনি এ কথা অস্বীকার করছেন।কিন্তু আমার সাথে আমার স্কুলের আরো ৩জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী আমার মত একই ভাবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে,কৃতকার্য হয়। পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা ভুল করে উল্টো চক্রান্ত করে তাদের নিজেদের ভুল আমার উপর চাপানোর চেষ্টা করছে।