
সিলেট সুরমা ডেস্ক : কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারীর সিজারের সময় নবজাতককে দ্বিখণ্ডিত করার ঘটনায় কুমিল্লার সিভিল সার্জনসহ ৭ চিকিৎসককে হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের হাজির করা হয়।হাজির হওয়া চিকিৎসকরা হলেন— কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিজারিয়ান অপারেশনে নেতৃত্বদানকারী ডা. করুণা রানী কর্মকার, তার সহকর্মী ডা. নাসরিন আক্তার পপি, ডা. আয়শা আক্তার, ডা. জানিবুল হক ও ডা. দিলরুবা নাসরিন, হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী ও কুমিল্লার সিভিল সার্জন আব্দুল মজিদ।কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুলেখা আক্তার নামে এক প্রসূতির স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সময় চিকিৎসকরা সন্তানের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেন। পরে সিজার করে বের করা হয় কাটা মাথা, কেটে ফেলা হয় ওই প্রসূতির জরায়ু।পরে গত ২৫শে মার্চ ‘ডাক্তার দুই খণ্ড করলেন নবজাতককে’ শিরোনামে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে পত্রিকার প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।এর পর হাইকোর্ট সাত চিকিৎসককে তলব করেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেন আদালত।এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রসূতির গর্ভের সন্তান মৃত ও অস্বাভাবিক পজিশনে ছিল। কিন্তু শিশুটির হাত-পা জরায়ুমুখ দিয়ে বের হয়ে চলে আসায় বাধ্য হয়ে অপারেশনের মাধ্যমে মৃত শিশুর দেহ ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে আলাদাভাবে বের করা হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জরায়ু কেটে ফেলা হয়। সিজারিয়ানের আগে এসব বিষয়ে প্রসূতির স্বামীর অনুমতি নেয়া হয়েছে এবং এতে চিকিৎসকদের অবহেলা ছিল না বলে তারা দাবি করেন।উল্লেখ্য, জুলেখা আক্তার (৩০) মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের সফিক কাজীর স্ত্রী। গত ১৭ই মার্চ প্রসব বেদনা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পর দিন ১৮ই মার্চ তার সন্তান প্রসব হয়।