সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম, এসআই মিজানুর রহমান ও এসআই সফিক উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দ্বীপবন্ধ (বিলপার) গ্রামের ৪৪ জন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রামের অসহায় দিনমজুর মনফর আলী (মানাই) ও তার ছেলে জুয়েল আহমদ (২৫) ও মেয়ে সুমিনা বেগমের (২০) উপর থানা পুলিশের শেল্টারে পাশের বাড়ির সেবুল, জয়নাল, ইসহাক, ইসলাম, নাছির উদ্দিনসহ কতিপয় বখাটেরা নানা অত্যাচার, নির্যাতন করে আসছে। তারা প্রতিনিয়ত থানায় গিয়ে ওসি-দারোগার সঙ্গে মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পাবার পরামর্শও করে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, মনাই গরিব হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতিপক্ষের আব্দুল কাদির সাজানো একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৫ তারিখ ২৫/১০/১৭ইং)।
স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম্য মুরব্বীগণ সালিশে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলেও পুলিশের পরামর্শে বখাটেরা তা প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মনাই তার ছেলে রুয়েল, জুয়েল ও মেয়ে সুমিনাকে কুপিয়ে জখম করে ওই বখাটেরা। ঘটনার পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর রুয়েল বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ১৩)।
এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বখাটে সেবুল, জয়নাল ও ইছাক ফের মানাইর ছোট ছেলে জুয়েলের মাথায় কুপিয়ে ডান হাতের ৩টি আঙ্গুলও কেটে ফেলার চেষ্টা করে। এ ঘটনার পরও রুয়েল একইভাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ প্রথমে মামলা না নিলেও পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করা হয় (বিশ্বনাথ জিআর ৪৯/১৮ইং)।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ইতিপূর্বে গ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বরাবরেও স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থই অনর্থের মুল। টাকা না থাকায় স্মারকলিপির কোন গুরুত্ব পায়নি থানা পুলিশের কাছে। সিলেট ওসমানীনগর সার্কেলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা ও পেয়েছিলেন। কিন্তু মনাই’র প্রতিপক্ষ বিত্তশালী আসামিগণ থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রামে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে, কিন্তু পুলিশ নির্বিকার। যে কোন সময় মনাইর পরিবারের উপর বড় ধরনের আক্রমণ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেছেন, পুলিশ কাউকে শেল্টার (আশ্রয়) দিচ্ছে না। মামলার সকল আসামি অভিযুক্ত নয়। কাজেই থানায় গেলেই যে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।