সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেটের আদালত প্রাঙ্গনে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবিদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রায় একমাসে একাধিকবার পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদনের শুনানী পেছানোর পর রোববার শোনানি শেষে তিনি এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন (নং ৫০/১৮) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর হাদিউল ইসলাম। চাজর্শিটে মামলার প্রধান আসামি লিয়াকত আলীসহ তার তিন সহযোগীকে বাদ দেয়া হয়। পরে বাদি পক্ষ নারাজি দিলে আদালত শুনানি শেষে নারাজি গ্রহণ করেন।
পুলিশের দাখিল করা চার্জশিট থেকে বাদ পড়া ৪ অভিযুক্ত হচ্ছেন জৈন্তাপুরের মল্লিফৌদ গ্রামের ওয়াজিদ আলীর পুত্র লিয়াকত আলী, নয়াখেল গ্রামের মতিউর রহমানের পুত্র ফয়েজ আহমদ বাবর, আদর্শ গ্রামের জালাল মিয়ার পুত্র শামীম আহমদ ও খারুবিল গ্রামের আলী আহমদের পুত্র হোসাইন আহমদ।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হচ্ছেন- জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত গ্রামের খাতির আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম, হরিপুর গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র জুয়েল আরমান, চাল্লাইন গ্রামের সাইফ উদ্দিনের পুত্র নুরুদ্দিন মড়া, ঘাটেরছটি গ্রামের লুৎফুর রহমান কালার পুত্র এম জেড জাহাঙ্গীর, শফিফুর রহমানের পুত্র তোফায়েল আহমদ, আলু বাগান গ্রামের মোস্তফা মিয়ার পুত্র সৈয়দ রাজু, বাউরবাগ মল্লিফৌদ গ্রামের মোহাম্মদ আলী মড়ার পুত্র ফারুক আহমদ, হাটিরগাঁও গ্রামের হোসেন মিয়ার পুত্র শাব্বির আহমদ, আদর্শ গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র মনির মিয়া, লক্ষীপুর পূর্ব গ্রামের মনির মিয়ার পুত্র তাজ উদ্দিন, সরুফৌদ গ্রামের সিদ্দিক আলীর পুত্র হোসেন আহমদ ওরফে টাটা হোসেন, সরুখেল পশ্চিম গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র সুলতান আহমেদ ও বাউরবাগ গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র নুরুল ইসলাম।
জব্দ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে এই ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে চাজর্শিটে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সিলেটের আদালত প্রাঙ্গনে গত ২৫ জানুয়ারি দুই সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়। আক্রান্তরা হচ্ছেন যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন নিরানন্দ পাল ও দৈনিক যুগান্তরের চিত্রগ্রাহক মামুন হাসান। এঘটনায় নিরানন্দ পাল বাদী হয়ে লিয়াকত আলী ও ফয়েজ আহমদ বাবরকে প্রধান অভিযুক্ত করে আরও ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করেন।