• ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হাছন রাজার বাড়ীতে সিলেট লেখক ফোরামের চড়ুইবাতি উৎসব

প্রকাশিত মার্চ ৬, ২০১৮
হাছন রাজার বাড়ীতে সিলেট লেখক ফোরামের চড়ুইবাতি উৎসব

সিলেট সুরমা :: মরমী কবি হাছন রাজার রঙের রামপাশার বাড়ীতে সিলেট লেখক ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ভিন্ন ধারার ভিন্ন আমেজের সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম অনুষ্ঠান। মাঠে চুলো বানিয়ে ধুলো বালি ও ঠালিঘটি দিয়ে আবহমান গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য বিলুপ্তপ্রায় খেলা চড়ুইবাতি (সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ঠালিঘটি) খেলার আয়োজন করা হয় মরমী কবি হাছন রাজার বাড়ীর ঐতিহাসিক বিশাল দীঘির পাড়ের সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে।

সিলেট লেখক ফোরাম সভাপতি গীতিকার কবি নাজমুল ইসলাম মকবুলের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. ফখর উদ্দিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান কবি গল্পকার রেবেকা জাহান রোজি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী বলেন, সিলেট লেখক ফোরাম সব সময়ই ব্যতিক্রম কর্মসূচি পালনে পারদর্শী। আমি লেখক ফোরাম নেতৃবৃন্দের সাথে শেকড়ের সন্ধানে অভিযাত্রায় জ্ঞানের সাগর দুরবীন শাহ, মরমী কবি হাছন রাজা, বাউল সম্প্রাট শাহ আব্দুল করিমের বাড়ীসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত চমৎকার অনুষ্ঠানগুলোতে শরিক হয়েছি। ফোরামের প্রতিটি অনুষ্ঠানই আমার কাছে ব্যতিক্রম এবং প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। মরমী কবি হাছন রাজার বাড়ীতে আজকের ব্যতিক্রম অনুষ্ঠান আমাদের গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যকে আবারও উদ্ভাসিত করছে। গুণীজনদের বাড়ীতে তথা ঐতিহাসিক জায়গাগুলোতে ভিন্নধারার অনুষ্ঠানের আয়োজন একদিন ইতিহাসের অংশ হবে নিশ্চয়ই।

সভাপতির বক্তব্যে কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল বলেন, বর্তমান যান্ত্রিক যুগে অতীতকে ভুলে গেলে চলবেনা। আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্যকে আমরাই ধরে রাখতে হবে। লালন করতে হবে। চিনিয়ে দিতে হবে বর্তমান ও পরবর্তি প্রজন্মকে। পালন করতে হবে এসব অনুষ্ঠান আরও বেশি করে।  শুরুতে সিলেট লেখক ফোরাম নেতৃবৃন্দ ও অতিথিবৃন্দ মরমী কবি হাছন রাজার বাড়ীতে পৌছে হাছন রাজার তৈরি শত বছরের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক পুকুরঘাট, সিঁড়ি ও বাংলোঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে অবস্থানরতো শিশু কিশোররা হাছন রাজার বাড়ীর বরই গাছে ঢিল ছুড়ে বরই কুড়িয়ে তা দিয়ে আপ্যায়িত করে অতিথিদেরকে। কাচা ও আধপাকা মুখরোচক বরইর সাথে লবনের মিশ্রণ অনুষ্ঠানকে করে তুলে আরও প্রাণবন্ত।  অনুষ্ঠানে হাছনা ও রাজিবের স্টলটি সেরা চড়–ইবাতির স্টল নির্বাচিত হয়। তাদেরকে ও সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে নগদ আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি ও ফোরাম নেতৃবৃন্দ।