সিলেট সুরমা ডেস্ক : গোলাপগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল আহাদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক সেলিম হাসান কাওছার। ওই সাংবাদিক সিলেটের স্থানীয় দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি। রবিবার সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সেলিম অভিযোগ দাখিল করলে আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৫০ লাখ টাকার মানহানি মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপির কালাকোনা গ্রামের মৃত ফুরকান আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন নেয়াই, গোলাপগঞ্জ সদর ইউপির চৌঘরী একাডুমা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর স্থানীয় পরিচালক আব্দুল আহাদ, একই ইউপির চৌঘরী গ্রামের মৃত আব্দুল লতিবের ছেলে আক্তার হোসেন, ঢাকাদক্ষিণ ইউপির দত্তরাইল গ্রামের মৃত সানোহর আলীর ছেলে গোলাম রসুল খান ছালিম, শাহপরান থানার উপশহর এলাকার ৬নং রোডের ১১৯ নং বাসার বাসিন্দা মছব্বির আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম খান কবির।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মামলার এজাহারের যে বিবরণ দেয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘‘গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর বিদ্যুতায়নের মাস্টার প্ল্যানের দুর্নীতির কারণে ৬৫/৭০টি পরিবার বিদ্যুৎ পাননি। জনগণের অনুরোধে বাদী (সাংবাদিক কাওছার) সরেজমিন অনুসন্ধানপূর্বক ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর স্থানীয় একটি অনলাইন পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। পরে ওই সংবাদটি বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। বিবাদীরা তাদের অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিক কাওছারের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন। এ বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। তাতে নারাজি দেন মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন নেয়াই। আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআইডি গেল ৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দেয়।’’
আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘সাংবাদিক কাওছারের বিরুদ্ধে বিবাদীরা ভিত্তিহীন মামলাকে পুঁজি করে তার সামাজিক অবস্থানকে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানি করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ অশালীন বক্তব্য পোস্ট করে। এছাড়া তাকে (কাওছার) দালাল, চোর, অবৈধ সাংবাদিক উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করে বিবাদীরা।’’