• ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে নৌকার জন্য ভোট প্রত্যাশা করে বলেছেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের উন্নতি করতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা সেই নূহ নবীর আমল থেকেই বিপদে রক্ষা করেছে। নূহ নবীর নৌকা। এই নৌকাই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই নৌকা উন্নয়ন দিয়েছে। আমি আপনাদের এইটুকু বলবো নৌকা আপনাদের মার্কা। নৌকা জনগণের মার্কা, এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকেলে স্থানীয় সরকারি হাই মাদ্রাস মাঠে স্থানীয় আওয়ামী আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনভায় প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমি আবেদন জানাই আগামীতে নির্বাচন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে। সেই নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন এই প্রত্যেকটা নির্বাচন মার্কা দিয়ে নির্বাচন হবে। মার্কাটা হচ্ছে নৌকা। সেই নৌকা মার্কায় আমি আপনাদের কাছে ভোট চাই। যে উন্নয়ন করে যাচ্ছি, তা যেন অব্যাহত থাকে। মানুষ যেন খেয়ে পড়ে সুখে থাকে। মানুষ যেন শান্তিতে থাকে তাঁর জন্য আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ আমাদের দেন।’ তিনি এ সময় সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে নৌকায় ভোট প্রদানের জন্য ওয়াদা চাইলে জনতা দুই হাত তুলে সম্মতি জানায়।বিএনপি’র নেত্রীর দুর্নীতির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এদের মাথায় রয়েছে পচন। নেতাই যদি এতিমের টাকা মেরে খায় তবে তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা কি খেতে পারে, আপনারাই বিচার করে দেখেন।’জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ডা. দিপু মনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।দেশব্যাপী প্রাক নির্বাচনী সফরের অংশ হিসেবে সিলেট এবং বরিশালের পরই প্রধানমন্ত্রী এলেন পদ্মা বিধৌত বরেন্দ্র ভূমির রাজশাহীতে। সাত বছর আগে এই ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় এবং ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবায় দলীয় জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।তিনি অনুষ্ঠান স্থল থেকে ২১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ১২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা প্রসংগে বলেন, বেগম জিয়া এখন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। ১৯৯১ সালে এতিম খানা তৈরির জন্য বিদেশ আসা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে। যে এতিমখানার আদতেও কোন অস্তিস্ব নেই সেই এতিমখানার জন্য বিদেশ থেকে টাকা আনার প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতিমখানার জন্য বিদেশ থেকে টাকা এসেছে, সেই এতিমখানা কই, কি তার ঠিকানা, কেউ এর ঠিকানা জানে না, সেখানে কয়জন এতিম আছে তার কোন সংখ্যা নাই। এতিমরা আজ পর্যন্ত একটা টাকাও পায় নাই। সেই টাকা নয়-ছয় করে লুটপাট করে খেয়েছে। আজকে প্রায় ২৭ বছর পর বলে- না টাকাতো আছে, সুদে আসলে বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এতিমের টাকা এতিমের হাতে যায় নাই। সেই টাকা লুট করে খেয়েছে। যার মামলা দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আজকে তার সাজা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে বলেন, লুট করা, চুরি করা- এটাই তাদের চরিত্র। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশ তখনই ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। খালেদা জিয়ার ছেলেদের অর্থ পাচার ও ঘুষ দুর্নীতি আমেরিকার ফেডারেল কোর্ট এবং সিঙ্গাপুরের কোর্টে প্রমাণিত হয়েছে এবং পাচার করা টাকাও তাঁর সরকার দেশে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দের তাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন প্রসংগে বলেন, কিসের আন্দোলন, টাকা চুরির জন্য জেল হয়েছে। যেখানে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফেও নিষেধ করা আছে।তিনি বলেন, ‘কোরআন শরীফে বলা আছে, এতিমের ভাগ এতিমকে দেওয়ার জন্য, ২৭ বছরেও সেই এতিমের ভাগ এতিমকে দিতে পারেননি। সেই টাকা নিজের কাছে রেখে দেওয়ায়ই শাস্তি তিনি পেয়েছেন।’প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র খোঁড়া যুক্তি এতিমের টাকা সুদে-আসলে বাড়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তাহলে এতিমের টাকা ভোগ করেছে, খালেদা জিয়া পরিবার আর তার দলের লোকজন। আর এতিমদের বঞ্চিত করেছে।’
এতিমের টাকা আত্মসাতকারীরা দেশের মানুষকে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কিছু দিতে পারবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তারা সততার সাফাই হিসেবে বেতার ও টেলিভিশনে জিয়ার সম্পদ হিসেবে প্রদর্শিত ভাঙ্গা স্যুটকেস এবং ছেড়া গেঞ্জির প্রসংগ উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, ‘তাদের ছিলোটা কি? যখন জিয়া মারা গেলো তখন বললো জিয়া পরিবারের কিছু নাই, আছে ভাঙ্গা স্যুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি।’তিনি এ সময় সৌদি ধনকুবেরদের কাছে ব্যবসার জন্য জিয়া পরিবারের অবৈধ অর্থ লগ্নির ব্যাপারে দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আজকে সেই ভাঙ্গা স্যুটকেস ও ছেড়া গেঞ্জির মালিকরাই শত শত কোটি টাকার মালিক। আবার টাকা-পয়সা বিদেশেও পাচার করে। আরো কত কিছু তারা করেছে। কোকো-১, কোকো-২ থেকে ৬ পর্যন্ত লঞ্চ, ডান্ডি ডাইং ইন্ডাস্ট্রি,আরো কত রকমের ইন্ডাস্ট্রি তারা করেছে। ব্যাংক থেকে ৯শ’ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত পর্যন্ত দেয় নাই।
অপরদিকে সন্ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি, বাংলা ভাই সৃষ্টি করে মানুষের দিনের শান্তি এবং রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল। কারণ, এরা জনগণের কল্যাণে বিশ্বাস করে না, বলেন তিনি।শেখ হাসিনা এ সময় তাঁদের (তাঁর এবং ছোট বোন শেখ রেহানার) ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পর্যন্ত জনগণের জন্য দান করে সেখানে একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে ১৮শ’ শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার জন্য নিয়মিত বৃত্তি প্রদানের তথ্য উল্লেখ করেন।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রাজশাহীবাসীর জন্য এদিন উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের বর্ণনা দিয়ে এগুলোকে রাজশাহীবাসীর জন্য সুখবর হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আর বিএনপি আপনাদের শুধু লাশ উপহার দিয়েছিল। আর সৃষ্টি করেছিল স্বামীহারা বিধবা। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ড. ইউনুস, ড. তাহেরসহ রাজশাহীতে বিএনপি-জামাত এবং বাংলা ভাইয়ের জঙ্গি তৎপরতায় গাছের ডালে ঝুলিয়ে মানুষ হত্যা,আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ হত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই রাজশাহী ছিল সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আর বাংলা ভাইদের অভয়ারণ্য।প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তারা ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ৫ শতাধিক মানুষ হত্যা করেছে। আর ৩ হাজারের ওপর মানুষকে পুড়িয়ে আহত করেছে। রেলের ইঞ্জিন পুড়িয়ে রেল ধ্বংস করেছে, রেল লাইনের ফিস প্লেট তুলে ফেলে মানুষ হত্যার চেষ্টা করছে। ২৭ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুড়িয়ে বিদ্যুতের প্রকৌশলীকে আগুনে ফেলে দিয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েয়েছে, হাজার হাজার গাড়ি ভাংচুর করেছে। আর করেছে লুটপাট, দুর্নীতি।প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র অপকর্মের বিপরীতে তাঁর সরকারের শাসনে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রসংগ তুলে ধরেন।তিনি সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান, বৃত্তির টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মায়েদের মোবাইল ফোনে পৌঁছে দেয়া, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড করে উচ্চশিক্ষায় সহায়তা প্রদান এবং ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে নিয়মিত বৃত্তি প্রদানের তথ্য উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব গ্রামে স্কুল নাই সেখানে তাঁর সরকার স্কুল করে দিচ্ছে, যেসব স্কুল রয়েছে তাঁর উন্নয়ন করে দিচ্ছে, যেসব এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নাই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছে। কারণ ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে যাতে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছে দেয়ার এবং বেসরকারী খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়ে জনগণের নাগালের মধ্যে মোবাইল ফোনকে নিয়ে আসায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথাও জানান।
তিনি বলেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের শতভাগ চাহিদা পূরণ করতে কাজ করছে সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাজশাহীতে যখন তাঁর দলের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হন তখনই এই রাজশাহী শহরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। রাস্তা-ঘাট, সুপেয় পানির ব্যবস্থা হয়েছে, নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ হয়েছে।আওয়ামী উন্নয়ন করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে বিএনপি’র কোন মেয়র এমন উন্নয়ন করতে পারেনি। আর এখন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের যিনি বিএনপি’র মেয়র তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির মামলা। তবুও সে পদে ছিল এবং তাঁর সরকার এখানে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বন্ধ করে নাই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের জন্য প্রকল্প দিয়েছি, টাকা দিয়েছি। কিন্তুু তারা ব্যর্থ হয় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে। তারা পারবেও না। কারণ, তাদের লক্ষ্য থাকে কেবল লুটপাটের দিকে।’
পিতা-মাতা, ভাই হারিয়ে জনগণের কল্যাণে তাদের জন্য কাজ করতেই রাজনীতিতে এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব বেদনা-কষ্ট বুকে নিয়েও সারা দেশ ঘুরছেন। যার একটাই লক্ষ্য ছিল তাঁর বাবার আকাঙ্খা, গরীবের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়া, মানুষের কল্যাণ এবং দেশের উন্নয়ন। তাঁর ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা মা-বোনেরা, তরণ ভাইয়েরা- আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি।এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে জাতির পিতার বিচারের রুদ্ধ করে দেওয়া পথকে অবমুক্ত করে তাঁকে সপরিবারে হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসংগও উল্লেখ করেন।
তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক দাবি করাকে যুদ্ধাপরাধীদের, খুনীদের দল করতে দেয়াটাই তার বহুদলীয় গণতন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যেখানে ছিল মার্শাল ল’ ও প্রতিরাতে কারফিউ। সেখানে আবার গণতন্ত্র থাকে কি করে। কাজেই এরা শুধু জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনিই খেলে গেছে।তাঁর সরকার গঠনের পর দেশের মানুষ শান্তিতে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর ওই অস্ত্রের ঝনঝনানিও নাই, বোমাবাজিও নাই।২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)