• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রপ্তানি পণ্য ও বাজার বহুমুখী করতে নন-ট্রেডিশনাল আইটেমের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রপ্তানি পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ করতে নন-ট্রেডিশনাল আইটেমগুলোর ওপর যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল, শিল্পে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশে পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, তুলনামূলক কম খরচে বিশ^মানের রপ্তানি পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিএফটিআই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, সিপিডির’র গবেষনা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ। এতে বক্তব্য রাখেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর ভরসা করে থাকলে চলবে না। বিশ্ব বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। বাংলাদেশ গত অর্থবছরে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তৈরী পোশাক। ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প এখন শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশে বড় বড় গ্রীন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। ফ্যাক্টরিগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং কম্প্লায়েন্স।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি তৈরী পোশাক ফ্যাক্টরিকে এলইইডি সার্টিফিকেট দিয়েছে তার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারসহ বাংলাদেশের ৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বিরল সম্মানের। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বিশে^র প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে সার্ভিস সেক্টরসহ ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ^ বাণিজ্যের নিয়ামক সংস্থা ডব্লিউটিও প্রদত্ত সকল বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। বিশ^বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতে শিশু শ্রম বন্ধ, কোটা প্রথা বাতিল, কম্প্লায়েন্স ফ্যাক্টরি নির্মাণসহ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। অতীতের সকল ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যবসা বান্ধব বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)