সিলেট সুরমা ডেস্ক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি রাজনৈতিক মামলা হিসেবে পরিচিত করার অপপ্রচার চালানো হলেও এটি আসলে কোন রাজনৈতিক মামলা না এবং এর সাথে রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই।তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগের একটি আদালত এই মামলায় সাজা দিয়েছে। বিচারক বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর সাজা দিয়েছেন। সরকারের এখানে কোন হাত নেই। আসলে তারা (বিএনপি) মূল ব্যাপারটিকে অন্যদিকে পরিচালনা করার জন্যই এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আইন উপ-কমিটি আয়োজিত ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখড়ে নিয়ে যেতে চান। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন কেউ আইনের উর্দ্ধে নন। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে। ব্যক্তি যে দলেরই হোক অন্যায় করলে তার বিচার করা হবে।তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি এক না। কারণ, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না এবং বিএনপি বাংলাদেশে বিশ্বাসী না যদি বিশ্বাস করতো তাহলে নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানাতো না।আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তের সময় পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে যে, জিয়াউর রহমান এই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ছিল। তিনি বলেন, বিএনপি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ধারণ করেছে, লালন করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে মিশনগুলোতে চাকরি দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়। সেকারণে দুর্নীতি দমন কমিশনকে(দুদক) শক্তিশালী করেছে এবং তাঁর প্রচেষ্টায় দুদক ২০০৯-২০১০ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।আইন মন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কথা এক দিনও বলেননি। অথচ এখন তিনি খালেদা জিয়ার বিচারের রায়ের কপি দিতে দেরি হওয়ায় আশ্চর্য প্রকাশ করেছেন।বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের ৯ ধারা সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের দলে ঠাঁই দেওয়ার জন্যই তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও আইন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক মোজম্মেল বাবু, স্বদেশ রায়, মনজুরুল ইসলাম, অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম।১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)