• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দারিদ্র্য দূর করতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি আজ সকালে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)-এর ৪১তম পরিচালনা পরিষদের সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল বক্তব্য দানকালে এই আহ্বান জানান।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় এবং বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এটি অর্জন করা যাবে না। তিনি বলেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে উন্নয়ন সহযোগীদের আরো একটু উদার হতে হবে। অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ফ্রাজিলিটি টু লং টার্ম রেসিলেন্স : ইনভেস্ট ইন সাসটেইনেবল রুরাল ইকোনোমি।’এসময় তিনি বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সহায়তা অব্যাহত থাকার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে বলেন, অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে ইফাদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইফাদ-এর সহায়তার ও সহযোগিতার মডেলটি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা থেকে অনেক ভিন্ন। ইফাদ-এর এই মডেলটি মানবতায় এখনকার মতে অনাগত দিনগুলোতেও কাজ করে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা স্থাপন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা যাবে না। গ্রামীণ সামাজিক ও জলবায়ুগত স্থিতিশীলতার উন্নয়নে একটি ব্যাপকভিত্তিক টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি তৈরিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদীভাবে স্থিতিশীলতা আনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রায় এক দশক ধরে সুশাসন থাকায় বাংলাদেশ ভাগ্যবান।তিনি বলেন, আমরা সতর্কতার সাথে চার বছরের আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধি হিসেব করে আমাদের কৌশল নির্ধারণ করেছি এবং গত নয় বছর ধরে এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে চাহিদা ও প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয় করেছি।শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৯ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে এবং এর অর্ধেক হবে মধ্যবিত্ত। এর ফলে বিশ্বের আবাদী জমি, বনভূমি এবং পানির ওপর প্রবন্ড চাপ পড়বে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধিতে অনেক দেশের আবাদী জমি ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে এবং ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ছাড়াই আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৫০ সালে বিশ্বের খাদ্য চাহিদা ২০০৬ সালের অবস্থান থেকে অন্তত ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে এবং খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ৮৪ শতাংশ দাঁড়াতে পারে।তিনি বলেন, ‘আমরা কিভাবে এ ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো? আমি আপনাদের আমার দেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কৃষি প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরবো, যা আমরা বৈশ্বিক পর্যায়ে মানব উন্নয়নের জন্য অন্যান্য দেশ গ্রহণ করতে পারে অথবা আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি।’তিনি বলেন, আমরা আরেকটি ১৯৮১ সালের মুখোমুখি হতে চাই না, তখন আমরা বুঝতে পারি কৃষি প্রবৃদ্ধিকে উপেক্ষা করা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।প্রথমে আমি আপনাদের বলবো, প্রতিবছর জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারণে দেশে খাদ্য সংকট এবং খাদ্য উৎপাদন হ্রাসের যে কোন সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশী জনগণ স্বাভাবিকভাবে সক্ষম।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের মোকাবেলায় বাংলাদেশীরা আস্থার সঙ্গে শক্তভাবে লড়াই করে সমস্যার সমাধান এবং সংকট কাটিয়ে উঠতে বিকল্প উপায় গ্রহণের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় এক দশক ধরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং চলতি বছর অসময়ে বার বার বন্যার কারণে অপ্রত্যাশিতভাবে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছিলো।শেখ হাসিনা বলেন, এই ঘাটতি মোকাবেলায় গ্রাহকদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাথে সাথেই খাদ্য আমদানি নীতি গ্রহণ করা হয়।তিনি বলেন, ‘আপনারা নোট রাখতে পারেন যে, আমরা খাদ্য উৎপাদন ১৯৭১ সালের ১১ মিলিয়ন টন থেকে ২০১৭ সালে ৩৯ মিলিয়ন টনে উন্নীত করেছি। যদিও এসময় এক-তৃতীয়াংশ আবাদী জমি হারিয়েছি।’২০০৮ সালে খাদ্য উৎপাদন ৯ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সম্ভব হয়েছে সরকার কৃষকদের বিপুল ভর্তুকি, সহজ শর্তে ও সুদমুক্ত ঋণ প্রদানসহ কৃষকদের কাছে কৃষি উপকরণ পৌঁছানের কারণে।তিনি বলেন, সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা আইসিটি’র সকল সুযোগ কাজে লাগিয়েছি। বর্তমানে দক্ষতা উন্নয়নে এবং গবেষণায় বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোর ব্যাপারে আইসিটি সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপগ্রহের মাধ্যমে নতুন ম্যাপিং কৌশল এবং জিআইএস জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা পেতে সরকারের জন্য সহায়ক হয়েছে। এটি নতুন উদ্ভাবিত শস্যজাতের জন্য কার্যকরভাবে পানি সংরক্ষণ, এলাকা চি্িহ্নতকরণ, উপযুক্ত মানচিত্র তৈরিতে সহায়ক হয়েছে।তিনি বলেন, এর ফলে আমরা এখন খাদ্য ও কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি কিছু বাড়তি খাদ্য রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছি।শেখ হাসিনা বলেন,টেকসই উন্ন্য়ন এজেন্ডা- ২০৩০ গ্রহণের পর ‘কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না’ এ লক্ষ্যে আমাদের দেশে সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের লক্ষ্য একই এবং তা পরবর্তী পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর এবং সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা।তিনি বলেন,প্রাগঐতিহাসিক কাল থেকে বাংলাদেশ উর্বর ভুখন্ড হিসেবে পরিচিত যেখানে সব ধরনের কৃষিপণ্য সহজেই উৎপাদিত হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্টাকালে দেশ কঠিন খাদ্য ঘাটতির মুখে পড়ে। তখন দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন হতো মাত্র এক কোটি দশ লাখ টন।স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশেকৃষি উৎপাদন কৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং দেশে সবুজ বিপ্লব’-এর ডাক দেন।শেখ হাসিনা বলেন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বঙ্গবন্ধু ভুমি সংস্কার,খাজনা কমানো,গবেষনা প্রতিষ্টান গড়ে তোলা,সেচ পাম্প স্থাপন,কৃষি উপকরন বিনামূল্যে বিতরনসহ কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামাঞ্চলে কাউকে পিছনে ফেলে রাখা যাবে না- এই চ্যালেঞ্জই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৭২ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে এবং ৪৩ শতাংশ কৃষি খাতে শ্রমজীবী হিসেবে কাজ করে, যারা দেশের জিডিপিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখছে।তিনি বলেন, গ্রামীণ অকৃষি খাতের কর্মীর সংখ্যা শতকরা ৪০ শতাংশ যারা গ্রামীণ আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি আয় করে। কাজেই অর্ন্তভুক্তিমূলক এবং টেকসই গ্রামীণ রূপান্তরই দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা দূর করা এবং কাউকে পেছনে ফেলে না রাখার লক্ষ্য অর্জনের মূলশক্তি।বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের আগেই এটি ভালভাবে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রস্তÍুুত। ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র নির্মূল হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত হয়ে গড়ে উঠবে, যোগ করেন তিনি।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে অন্যান্য চরম চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কারণ, ২০৮০ সালের মধ্যে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা মাত্র ৬৫ সে.মি. বাড়লেই বাংলাদেশকে তাঁর ৪০ শতাংশ উৎপাদনশীল ভূমি হারাতে হবে।’তিনি বলেন, উপরন্তুু, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ফসল উৎপাদনে পরিবর্তন দারিদ্রের মধ্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। কাজেই উন্নত অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং স্থিতিস্থাপক কৃষি পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ কাজে লাগাতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, এই জন্যই সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় লবণাক্ততা, বন্যা এবং শীত সহিষ্ণ প্রতিরোধী উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষিক্ষেত্রে গবেষণায় সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।‘৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে এবং অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলির চিহ্নিতকরণ, যেমন স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো, জ্বালানি সমস্যার সমাধান, কৃষি কর্মসূচি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসের বিষয়েও জোর দেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, চলমান গ্রামীণ রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা হবে, যার মাধ্যমে অকৃষিখাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ গতিশীলতা এবং গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করা হবে।তিনি বলেন, মৎস্যবান্ধব নীতির কারণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট মাছের উৎপাদন ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছে গেছে। এটি মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় অবদান রেখেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ আমাদের পণ্য হিসেবে জিওলজিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন সার্টিফিকেট পেয়েছে। আমরা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের ৪র্থ স্থানে রয়েছি।সরকার প্রধান বলেন, সরকারের দরিদ্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্যের বন্দোবস্থো করার কর্মসূচিও চালু রয়েছে। ‘২০১৭ সালে প্রায় ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে মাসে ৩০ কেজি করে খাবার চাল অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে ৫ মাস ধরে সরবরাহ করা হচ্ছে।তিনি বলেন, খাদ্য ভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচিতে সরকার ৭৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়াও তাঁর সরকার ৭৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য খোলা বাজারে চাল বিক্রীতে বরাদ্দ করেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করে, যার মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক জীবিকা এবং পরিবারিক খামারের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন হচ্ছে।তিনি বলেন, মোট ১১ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১০ লাখ সুবিধা ভোগীকে নিয়ে ১৭ হাজার ৩শটি গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা গঠন করা হয়েছে যারা প্রায় ৭ লাখ ছোট ছোট খামার স্থাপন করেছে।তাঁর সরকার জনগণের পুুষ্টি সমস্যার সমাধানের সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ সালে যেখানে বাংলাদেশের জনগণের ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ অপুষ্টির শিকার ছিল সেখানে এই হার ২০১৬ সাল নাগাদ ১৬ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতি দারিদ্রের হার যেখানে ২০০৫-০৬ সালে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল সেখান থেকে বর্তমানে তা ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। ‘সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এই ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)