সিলেট সুরমা ডেস্ক : বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও অবিচল আস্থার সাথে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “কোস্টগার্ডবাহিনী তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাবে এবং দেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখাসহ হয়ে উঠবে সত্যিকারের সমুদ্রের অবিভাবক। সরকারের রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডবাহিনীর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। এ উপলক্ষে এ বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিশাল সমুদ্র এলাকা ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে জনসাধারণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান দমন, মাদকনিয়ন্ত্রণ, মানবপাচার রোধ, অবৈধঅনুপ্রবেশ রোধ, নৌঅপরাধ দমন ইত্যাদি কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসাবে কোস্টগার্ডবাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, সরকার সুবিশাল সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশাল সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ও যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোস্টগার্ড এর আধুনিকায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা দেশীয় ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক ও দ্রুতগতিসম্পন্ন জাহাজ ও জলযান নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বলয় বিস্তৃত করার লক্ষ্যে সংযুক্ত হয়েছে নতুন জোন, বেইস, স্টেশন ও আউটপোস্ট এবং উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটি।’
সম্প্রতি ইতালি হতে ক্রয়কৃত ৪টি ওপিভি এ বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বরেন, অদূর ভবিষ্যতে এ বাহিনীতে হোভারক্রাফট, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে। কোস্টগার্ডবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভিত্তি সুদৃঢ়করণে নিজস্ব জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)