স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের বিয়ানীবাজারে উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল হকের ডাকে উপজেলার চাদাঁবাজ ও প্রভাবশালী যুবলীগ নেতার আব্দুল কাদিরের ফাঁসীর দাবীতে এক মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী মানববন্ধন বেলা ২ টায় মুক্তিযুদ্ধা চত্বরে অনুষ্টিত হয় । এ সময় দলীয় নেতা কর্মীরা আব্দুল কাদিরের চাদাঁবাজি ও অবৈধ বিভিন্ন দূর্নীতির সমালোচনা করেন এবং আব্দুল কাদিরের ফাঁসির দাবীতে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করা হয় । বক্তব্যের প্রক্ষালেই অথর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদির ও তার বড় ভাই আব্দুল জলিল সহ যুবলীগ নেতা কর্মীরা মানববন্ধনে হামলা চালিয়েছে। ফলে মানববন্ধনের স্হল বিয়ানীবাজারের মুক্তিযুদ্ধা চত্তরে উভয় পক্ষের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে দোকানপাট ভাংচুর এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগসহ ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। ঘটনাস্হলে পুলিশ আসলে তারা তখন মারমুখী হয়ে পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটক্যাল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ অবস্হায় আতম্কগ্রস্হ লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকলে সরকারী যানমাল রক্ষার্থে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনী গ্যাস নিক্ষেপ করলে মানববন্ধনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাইতে থাকে। ঘটনাস্হল হতে পুলিশ কিছু সংখ্যককে আটক করে এবং বাকীরা পালিয়ে যায় । যাদেরকে আটক করেছে তাহারা সবাই যুবদলের লোক বলে জানা যায়। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে এ রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ (হামলাটি) নিয়ন্ত্রনে আসলেও উভয় পক্ষের অনেক নেতা কর্মী আহত হওয়ার ঘঠনা ঘঠে। কয়েকজনকে স্হানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং অনেককে সিলেট এমএজি উসমানী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিয়ানীবাজার যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদিরের ভাই আব্দুল জলিল নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
সর্বশেষ গত রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বিয়ানীবাজার থানার ইনচার্জ এসআই বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির , বিয়ানীবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সোভন সহ উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর উপস্হিতিতে ৬ জন কে আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনের নামে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।উক্ত মামলার আসামীগনের মধ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক, সভাপতি জসিম উদ্দিন , সাধারণ সম্পাদক দৌলা হোসেন সুবাস,ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী রেজাউল করিম, ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ,সেক্রেটারি জিয়া উদ্দিন সহ মোট ৬ জন কে আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনের নামে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।মামলা হওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি বিয়ানীবাজার যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল হক সহ ৬ জনকে গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার থানার এসআই সিকান্দার।