সিলেট সুরমা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাপক আর্থ-সামাজিক ও জনসখ্যার চাপের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হওয়া বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতি বাংলাদেশের ওপর ব্যাপক আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত এবং জনসংখ্যার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় সুইডেনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শার্লট শ্যালেটার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় প্রদানে সরকার একটি দ্বীপকে উন্নয়ন করছে।
শার্লট শ্যালেটার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে তাঁর দেশের পূর্ণ সমর্থনের বিষয়ে পুনরায় আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুইডেনের শক্তিশালী রাজনৈতিক এবং মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের পর সৃষ্ট সংকটে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হয়।
দেশ পরিচালনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের অর্জন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মূলত কৃষিভিত্তিক দেশ হলেও তাঁর সরকার এখানে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
এ সময় শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ, তাদের সন্তানদের সুরক্ষায় ডে কেয়ার সেন্টার এবং ডরমিটরি গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান উন্নয়ন কর্মকান্ড বৃদ্ধিতে তাঁর দেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
তিনি সকলের জন্য ভালো কাজকে উৎসাহিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত ‘গ্লোবাল ডিল ইনিশিয়েটিভ’ সংক্রান্ত বিষয়ে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পদক্ষেপের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)