• ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সাত বছরে প্রায় সাত শতাধিক পত্রিকার নিবন্ধন দেয়া হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিগত ৭ বছরে প্রায় ৭ শতাধিক পত্রিকার নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৩১টি স্যাটেলাইট চ্যানেল, ২৮টি এফএম বেতার এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার)’র এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি ৪টি টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৮টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ২২টি এফএম বেতার এবং ১৭টি কমিউনিটি রেডিও’র সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বর্তমানে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, যান্মাসিক মিলে বর্তমানে ২ হাজার ৮শ’ পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা, উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট বর্তমান সরকারের সময়ে ১৬ হাজার ১জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ইনু বলেন, অপরদিকে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা, উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট একই সময়ে ২ হাজার ২৫৫ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, একই সময়ে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ১ বছর মেয়াদী পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ব্রডকাস্ট জার্নালিজম শীর্ষক প্রথম কোর্স সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রেস ইনস্টিটিউট ২ বছর মেয়াদী সাংবাদিকতায় মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৮১ জন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৯৬ জন ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৮৫ জন এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ৬১ জনকে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জন্য বর্তমান সরকার অষ্টম মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন করছে এবং ৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠনে চূড়ান্তকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের জাতীয় অনলাইন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সরকার সাংবাদিকদের বিশেষ অবদানের জন্য বৃত্তি প্রদান, সাংবাদিকদের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের জন্য এককালীন বৃত্তি এবং অবসরপ্রাপ্ত প্রথিতযশা প্রয়াত সাংবাদিকদের অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ও তাদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর আওতায় বাতিলকৃত নিউজ পেপার এমপ্লইজ (কন্ডিশনস এন্ড সার্ভিসেস এ্যাক্ট-১৯৭৪, আইনটি যুগোপযোগী করে গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন শিরোনামে পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রচার আইন-২০১৮ এর খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)