• ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি শিগগিরই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যথাযথভাবে তুলে ধরার আশ্বাস : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত জানুয়ারি ১৫, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনশনরত বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী  দিয়ে তাদের ঘরে ফিরে যাবার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি রোববার বিকেলে তার কার্যালয়ে অনশনরত মাদ্রাসা শিক্ষকদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে খুব শিগগিরই যথাযথভাবে তুলে ধরার আশ্বাস দেন এবং তাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী এর আগে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অফিসকক্ষে আন্দোলনরত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকগণের দাবির বিষয়ে এক সভায় মিলিত হন। সভায় প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঁইয়া, অশোক কুমার বিশ্বাস ও রওনক মাহমুদ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বিল্লাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আন্দোলনরত বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকগণের দাবি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সক্রিয় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সভাশেষে শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী ও মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সভার সিদ্ধান্ত অবহিত করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত আমরন অনশনকারী শিক্ষকগণকে নিয়ে ঘরে ফিরে যাবার অনুরোধ জানান।
এই তীব্র শীতের মধ্যে আর কষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন,‘আপনাদের দাবি ও সমস্যা যথাযথভাবে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো। আপনারা ঘরে ফিরে যান।
প্রতিনিধিদ্বয় মন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বলেন, যেহেতু সারা দেশের শিক্ষক প্রতিনিধিগণ অনশনে আছে, সেখান থেকে ২০ জনের একটি প্রতিনিধিদলের সামনে এই প্রস্তাব তুলে ধরলে ভালো হয়। সেই অনুযায়ী বিকাল ৩টায় আবার ২০ জনকে তারা মন্ত্রীর অফিসকক্ষে নিয়ে আসেন। মন্ত্রী সম্প্রসারিত কলেবরের প্রতিনিধিগণের সামনে আবার আন্দোলনরত সকলকে ঘরে ফিরে যাবার অনুরোধ জানান। ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)