• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ভেঙে দেওয়া হয়: বিবাহ

প্রকাশিত জানুয়ারি ১৫, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বরের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কন্যার অভিভাবক তার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হলেন না। এনিয়ে কথাকাটাকাটি হলেও অনঢ় কন্যার অভিভাবক পূর্বনির্ধারিত বরকে বাদ দিয়ে বিয়ে দিলেন অন্যের সঙ্গে। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার উলুকান্দি গ্রামে।

রোববার উলুকান্দি গ্রামের বাছিত মিয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু পাত্রপক্ষ বরের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে না পারায় তিনি মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেন। পরে গ্রামেরই আরেকটি ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বাছিত মিয়ার মেয়ের সঙ্গে আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের এক তরুণের বিয়ে ঠিক হয়। যথাসময়ে হাজির হন বরপক্ষ। কাজি হাফিজুর রহমান বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। তিনি বরের জাতীয় পরিচয়পত্র চান। বরপক্ষ জানায়, পরিচয়পত্র আনতে ভুলে গিয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ের কাবিন হবে না বলে জানান কাজি। এ সময় বর ও কনেপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাছিত মিয়া বিয়ে ভেঙে দেন।

আবদুল বাছিত কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তিনি জানান, ‘যে ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার কাছে মেয়ে বিয়ে দিই কী করে? বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। সন্ধ্যায় নিকট আত্মীয়ের ছেলের কাছে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি।’

কাজি হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ের কাবিন করা যাবে না, বলার পরও বরপক্ষ তা আনতে পারেনি। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।

পাইলগাঁও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সাহান আহমদ বলেন, সচেতনতার অভাবে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।