সিলেট সুরমা ডেস্ক : মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বার্ষিক সভায় ক্রিকেটারদের বেতন বৈষম্য নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান। এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সভায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আমন্ত্রণ পান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মঙ্গলবার এবং বুধবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বসেরা এ অল রাউন্ডার বলেন, ‘বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটকে আর তাদের লক্ষ্য হিসেবে দেখেন না। কারণ টেস্টের তুলনায় টি-টোয়েন্টি থেকে বেশি আয়ের সুযোগ বেশি।’
সাকিবের মত, বেতন বৈষম্যের কারণেই এখন আর জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ নেই ক্রিকেটারদের মধ্যে। তার চেয়ে বরং, জাতীয় দল ছেড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা বেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে।
সভায় রিকি পন্টিং সাকিবের কথার সূত্র টেনে এনে বলেন, ‘সাকিব উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক দিন ধরে চলে আসা কিছু সমস্যা আর ঘটনার কথা বলেছে। সাকিব এও বলেছে, সারা বিশ্বে ক্রিকেট থেকে যে পরিমাণ আয় হয়, সেটা কোথায় যায় সেটা আইসিসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা তো স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায় যে, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়দের অনেক বেশি আর্থিক নিরাপত্তা দিচ্ছে। সেখানে তারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছে। যে কারণে জাতীয় দলের চেয়ে এসব ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলাই বেশি নিরাপদ মনে করছে তারা। আপনি খেলোয়াড়দের এসব টুর্নামেন্টে খেলার কারণে দোষও দিতে পারবেন না। ইংলিশ কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আপনি জাতীয় দল ছেড়ে আইপিএল খেলতে দেখবেন না। এর কারণ তারা (বোর্ড) খেলোয়াড়দের সন্তোষজনক পারিতোষিক দিয়ে থাকে। তাই বছরের বেশির ভাগ সময় ধরে টেস্টে সেরা খেলোয়াড় পেতে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি চুক্তি নিশ্চিত করা উচিত। এতে তাঁদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার আগ্রহে ভাটা পড়বে না।’
রিকি পন্টিংসহ কমিটির অন্য সদস্যদের আশা, আইসিসি খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি আরও ভালোভাবে অনুধাবন করবে এবং এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
দেশ-ভেদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতার বিস্তর ফারাক। অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ গত বছর আয় করেছেন প্রায় ১৫ লাখ ডলার। অথচ এই একই সময়ে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের আয় ৮৬ হাজার ডলার।