সিলেট সুরমা ডেস্ক : সরকার এ বছর বিদেশে ১২ লাখ অভিবাসী শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ২০১৭ সালে প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সফলতা তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএসসি বলেন, গত বছর আমরা ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিককে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছি, যা দেশের সব আগের রেকর্ডগুলিকে ছাড়িয়ে গেছে। এই বছর আমরা ১২ লাখ অভিবাসী শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।
মন্ত্রণালয়ের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ হতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।
নুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ৬টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ও ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ মোট ৭০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্রমান্বয়ে অদক্ষ কর্মী প্রেরণ কমিয়ে আধাদক্ষ ও দক্ষ কর্মী প্রেরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় ১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের ১ম পর্যায়ে ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে আরো ৫০টি উপজেলায় ৫০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিএমইটি’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বর্তমানের দেড় লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় পাঁচ লাখে উন্নীত হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মীদের সেবা সহজীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে বর্তমানে ২৯টি জেলার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা আরো সম্প্রসারিত হবে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩৪৩ জন প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানকে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিদেশগামী এ প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণার্থে ও সমস্যা সমাধানে ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ডিজিটাল হেল্প ডেস্ক (হট লাইন +৮৮ ০১৭৮৪ ৩৩৩ ৩৩৩, +৮৮ ০১৭৯৪ ৩৩৩ ৩৩৩ ও +৮৮ ০২-৯৩৩৪৮৮৮) চালু করা হয়েছে।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১০ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস)