• ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

এমসি কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ 

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৪, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেট এমসি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পক্ষের তরফ থেকেই ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিপুল পরিমাণ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এমসি কলেজ ক্যাম্পাস সংলগ্ন টিলাগড় পয়েন্টে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্প্লিন্টের আঘাতে দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে।

আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হচ্ছেন, সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সদস্য নাজমুল ইসলাম ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাহেল আহমদ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে শাহপরান থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই কলেজের ভিতরে-বাহিরে দুই পক্ষের অবস্থান নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো। এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কলেজ ক্যাম্পাসে অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের ঢুকতে বাঁধা দেয়ার উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের ঘটনায় এসময় এমসি কলেজ ও তার আশ-পাশের এলাকার সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং টিলাগড় পয়েন্টের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আমরা শর্টগান থেকে ৩২ রাউন্ড ফায়ার করি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায়ই সংঘাত ও সংঘর্ষ হয়। প্রতিবারের মতো আজ দুপুরেও ক্যাম্পাসে আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।