সিলেট সুরমা ডেস্ক : জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর হেমু হাউদপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০ ডিসেম্বর বিকেলে ঐ গৃহবধূ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর স্বামীর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হলে তাকে ঐদিন সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরদিন বিকেল ৫টায় গৃহবধূ হাসপাতালে মারা যান। গৃহবধূ রুজিনা বেগম (৩০) উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ডেমা গ্রামের ফয়জুর রহমানের মেয়ে এবং দুই পুত্র সন্তানের জননী।
ঘটনার পরপরই নিহতের পরিবার থেকে হত্যার অভিযোগে থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও রহস্যজনক কারণে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা না নেয়ায় পরে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর মডেল থানার ভূমিকা নিয়ে তোলপাড় চলছে।
সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রুজিনার স্বামী জমির উদ্দিন, ভাই মনির উদ্দিন, মা মায়াবান বিবি, আত্মীয় নুর মিয়া সহ পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য শারীরিকভাবে নির্যাতন করে অথবা বিষ প্রয়োগ করে কৌশলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার ২ দিন পর সিলেট কোতয়ালী থানার এস আই লোকমান হোসেন লাশের ময়নাতদন্ত করেন। ঐদিন বিকেলে নিহত রুজিনা বেগম কে তার পিতার বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) খান মো. মাঈনুল জাকির জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আমাদের নিকট পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলে থানায় অপমৃত্যু মামলা হিসাবে নেওয়া হবে। লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।