• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

অপপ্রচারে আমি বিব্রত

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২০, ২০১৭

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, অপপ্রচারে আমি বিব্রত। একটি পক্ষ আমার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা নষ্ট ও নিরবিচ্ছিন্ন আইন পেশায় চির ধরাতে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সঠিক নয়।
২০ নভেম্বর সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমি স্বপরিবারে ভারত সফর করি। কিছু গণমাধ্যমে আমাকে নিয়ে ভুল তথ্য সংযোজন করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বলা হয়, আমার সাথে ভারতে সুনামগঞ্জের হাওর দুর্নীতি মামলার আসামী ছিলেন। বিষয়টি আমাকে মর্মাহত করেছে। কারণ আমি একজন রাজনীতিবিদ, পাশাপাশি একজন আইনজীবী। আপনাদের সকলের দোয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পর পর তিনবার কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। আওয়ামীলীগ অন্তপ্রাণ মানুষের ভালবাসা নিয়ে সিলেট বিভাগে তথা বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে অবিচল আছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে।
ভারত সফর একটি পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সফর ছিল জানিয়ে মিসবাহ সিরাজ বলেন, ‘ঐ দিন আমি স্বপরিবারে ভারত যাই। বর্ডারে অনেকেই আমার সাথে ছবি উঠেছেন। ঐ দিন সিলেট যুবলীগের সাবেক নেতা আব্দুল হান্নান ও তার পরিবার নিয়ে ভারত যাওয়ার জন্য তামাবিল বর্ডারে যান। যাত্রাপথে আমার সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগ পরিবারের অনেক শোভাকাঙ্খীদের সাথে দেখা হয়। তারা আমাকে অর্ভ্যর্থনা ও বিদায় জানান। রাজনৈতিক পরিচিতির ফলে এ সময় আমার সাথে অনেকেই ছবি তুলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়। আমার ঐ পারিবারিক সফরের সাথে হান্নানের কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। ভারত সফর শেষে যথারীতি আমি আমার পরিবার নিয়ে দেশে ফিরে এসেছি। দেশে ফিরে এসে শুনেছি নানা ধরনের অপপ্রচার। যা শুনে একজন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হিসেবে আমি বিব্রতবোধ করছি। আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে এবং তা আড়াল করে বিদেশ যেতে পারলে তার দায় আমার নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই বিষয়টি উল্লেখ করে মিসবাহ সিরাজ বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলুক সেটাই আমি চাই। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি একজন সরকারি কৌশুলী (পাবলিক প্রসিকিউটর) হিসাবে সর্বোচ্চ সচেতন আছি। সুতরাং পারিবারিক সফরের বিষয় নিয়ে অপপ্রচার ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুন্নের সামিল।
আমি গত ২২ মার্চ সিলেট আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামীলীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে প্রার্থীতা ঘোষণা করার পর হতে একদল কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক সফলতায় ইর্শ্বান্বিত হয়ে প্রলাপ, প্রপাগন্ডা করছে। যা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় আজ আমি এ অবস্থানে এসেছি। সুতরাং আমার সহকর্মী,আত্মীয় স্বজন এবং সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ আপনারা ভিত্তিহীন এমন তথ্যে বিভ্রান্ত হবেন না। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসাবে বলব- হান্নান কেন, যে কোন অপরাধী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমার অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার। যে কোন ফৌজদারী মামলা পরিচালনা করাই আমার কাজ। আমি করণীয় থেকে কখনও বিচ্যুত হইনি। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।