মার্কিন আইনপ্রনেতারা শুক্রবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে। দেশটির সংখ্যালুঘু রোহিঙ্গা মুসলমানের ওপর নির্যাতন বন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে চাপের মুখে রাখতে ওয়াশিংটনের এ পর্যন্ত চালানো প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে জোরালো। খবর এএফপি’র।
সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দলের সদস্যরা এমন একটি বিল উপস্থাপন করে যার আওতায় মিয়ামমারের সামরিক বাহিনীকে দেয়া সাহায্য বা সহযোগিতা হ্রাস পাবে।
সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান জন ম্যাককেইনসহ সিনেটের দ্বিদলীয় একটি গ্রুপ বৃহস্পতিবার তাদের এই বিল উত্থাপন করে।
এ বিলে মিয়ানমার থেকে মূল্যবান পাথর আমদানির ওপর পুনরায় অবরোধ আরোপসহ দেশটির বিরুদ্ধে আমদানি ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা নবায়নের কথা বলা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ম্যাককেইন বলেন, ‘আমাদের এই আইন মিয়ানমারে নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়িত করার জন্য দায়ী সামরিক বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে এবং এরফলে এটা স্পষ্ট হবে যে যুক্তরাষ্ট্র এসব নৃশংসতার পক্ষে দাঁড়াবে না।’
এশিয়া সফরের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রওনা হওয়ার পর মিয়ানমারের ব্যাপারে এ কঠোর প্রস্তাব দেয়া হলো। এশিয়া সফরকালে ট্রাম্প মিয়ানমারসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোর কারণে দেশটি থেকে ছয় লাখেরও বেশী লোক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। বাসস