• ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিসিক’র গাড়ি নিখোঁজ : জিডি করেও ভুলে যান কর্মকর্তা!

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরশেনের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে তিনটি অব্যবহৃত গাড়ি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে ভুলে গিয়েছিলেন সংস্থার পরিবহন শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জাবেরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করপোরেশনের তিনটি গাড়ি নিখোঁজ হওয়ায় আমি নিজেই কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছিলাম। কিন্তু বিষয়টি পুরনো হয়ে যাওয়ায় তা আমার মনেই ছিল না।’

এদিকে আলোচিত এ ঘটনাটি নিয়ে করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে নিখোঁজের রহস্যের জট খুলতে মাঠে নেমেছে নগর গোয়েন্দা শাখা (সিটিএসবি)।

সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের তিনটি গাড়ি নিখোঁজের একমাস পর থানায় সাধারণ ডায়রি করার বিষয়টি রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নেমেছে নগর গোয়েন্দা শাখা (সিটিএসবি)। গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সিটি করপোরেশনে গিয়ে পরিবহন শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জাবেরুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেন। এসময় জাবিরুল থানায় সাধারণ ডায়রি করার কারণ এবং নিখোঁজ হওয়া গাড়িগুলো সম্পর্কে তথ্যও দেন।

সিটি করপোরেশন এলাকার দায়িত্বে থাকা সিটিএসবি’রএক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের তিনটি অবব্যহৃত গাড়ি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় যান্ত্রিক শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাবেরুল ইসলাম ঘটনার এক মাস পর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। এবিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ালেও কেউ মুখ খোলেননি। যখন এবিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তখনই নড়েচড়ে বসে করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এরপর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিষয়টি রহস্য উদঘাটনের জন্য নির্দেশ দিলে আমরা কাজ শুরু করি।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সার্বিক বিষয় জানার জন্য সিটিএসবি থেকে জাবিরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত তথ্য নেয়া হয়েছে।

জাবেরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সিটিএসবি সদস্যরা আমার সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন ধরণের তথ্য নিয়েছেন।

জিডি করেও বিষয়টি কেন অস্বীকার করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে করপোরেশন থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করতে হয়। গাড়ি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি আমি নিজে করলেও পরে তা আমার মনে ছিল না।

জিডিতে গাড়ির দাম উল্লেখ করেননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে মূল্যটি আমাদের অফিসে সংরক্ষিত থাকে। যা জিডিতে উল্লেখ করা হয়নি।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতায়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, ‘করপোরেশনের তিনটি গাড়ি নিখোঁজের পর থানায় জিডি করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’