সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট নগরীর সোনারপাড়া প্রাথমিক স্কুলের সামনে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নির্মাণ শ্রমিক নূর মোহাম্মদ (১৮) খুন হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় নূরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন।
তিনি জানান- নিহত নূরের ডান দিকের পেটের নীচে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ নূর মোহাম্মদকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এমদাদ নামের এক ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। সে সোনারপাড়া এলাকার ১৯২/২ নং বাসায় স্বপরিবারে ভাড়াটিয়ে হিসেবে বসবাস করে আসছে । ঘটনার পর থেকেই নূরের সহপাঠী নজরুল হোসেন (১৮) পলাতক রয়েছে।
তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে তাদের মধ্যে জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্ধ অথবা মেয়ে ঘটিত কোন কারণ রয়েছে।
নিহত নূর মোহাম্মদ সোনারপাড়া এলাকার বুলু মিয়ার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। সে ময়মনসিংহের হিম্মতপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। আর হামলাকারী নজরুল হোসেন (১৮) সোনারপাড়া এলাকার লুতুর মিয়ার ভাড়াটিয়া। পেশায় সে রং মিস্ত্রী। সে হবিগঞ্জের মুড়াকড়ি গ্রামের মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-নিহত নূর মোহাম্মদ ও হামলাকারী নজরুল হোসেন পেশায় দুজন শ্রমিক থাকায় একি সাথে চলাফেরা করতেন। তারা দুজনই বন্ধু ছিলো। ঘটনার সময় নূর মোহাম্মদ,নজরুলসহ আরও কয়েকজন মিলে স্কুলের সামনে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় নূর মোহাম্মদের সাথে কথাকাটাকাটি হয় নজরুলের। পরে নজরুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে নূর মোহাম্মদের পেঠে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে এমদাদসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নূর মোহাম্মদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নজরুল হোসেনের মা মাজেদা খাতুন জানান- আমার ছেলে নজরুল রং মিস্ত্রীর কাজ করতো। সে কোন দলের সাথে জড়িত ছিলো না। শুনছি কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার ছেলেসহ অন্যরা মিলে নূর মোহাম্মদকে মারপিট করছে।
আটক এমদাদের মা আমেনা বেগম জানান- নূর মোহাম্মদরে ছোরা দিয়া মারার পর আমার ছেলে এমদাদ তাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা তিনি জানেন না।