নির্বাচনে পুরুষ প্রার্থীরা পেশি শক্তির ব্যবহার করে নারীদের দমিয়ে রাখেন। এমনকি অবাধে কালো টাকা ছেড়ে রাজনৈতিক ও নিবার্চনের পরিবেশ নষ্ট করে দেন। ফলে যোগ্য থাকা সত্বেও নির্বাচনে নারীর পরাজয় ঘটে। আর তাই মূলদলে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার নগরীর হোটেল ভ্যালী গার্ডেনে ইউএসএআইডি ও ইউকেএইড এর যৌথ অর্থায়নে এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক প্যানেল মেয়র ও ২৫ ২৬ ২৭ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কউন্সিলর রোকশানা বেগম শাহনাজ।
আগামী নির্বাচনে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাস, কালো টাকা এবং পেশীশক্তির অপব্যবহার রোধ করতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তদারকির ব্যবস্থা করাসহ কয়েক দফা সুপারিশ নিয়ে সাংবাদিকেদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সিলেট জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নারী নেত্রীরা। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজনীন হোসেন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মারিয়ান চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবা গাজী, সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি পাপিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি সামিয়া বেগম চৌধুরী,
এসময় বক্তারা বলেন, আগামী নির্বাচনে এ ধরণের প্রতিবন্ধকতা থেকে নারীদের মুক্তি দিতে নির্বাচন কমিশন জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। বক্তারা বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে দুর্নীতি, সহকর্মীদের পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা ও অর্থনৈতিকভাবে নারীর দুর্বল অবস্থান ও মূল দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকায় সিলেটের নারী নেত্রীরা নানাভাবে পিছিয়ে রয়েছে। এসব সমস্যা দুরকরতে মূল দলের নেতাদের সহযোগিতার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় কয়েক দফা সুপারিশ পেশ করেন নারীরা। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দল দ্বারা মনিটরিং সেলগঠন, মূলধারার কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে কি না তা নিয়মিতভাবে তদারকি করা, নির্বাচনে সন্ত্রাস, কালো টাকা এবং পেশীশক্তির অপব্যবহার রোধ করতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তদারকির ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা, নির্বাচনী বাজেট এর বাইরে কোনও প্রার্থী অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করছে কিনা তা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনিটরিং করা, নারী প্রার্থীদের জন্যে নির্বাচনে জামানতের টাকার পরিমাণ কমানোসহ নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।