নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের ফুটপাত অবৈধ দখলদারদের গ্রেফতারি পরোয়ানা কপি এখনও কোতোয়ালি থানায় পৌঁছেনি। অথচ আদালতে পরোয়ানা জারির এক সপ্তাহ পূর্ণ হয়েছে বুধবার। কোতোয়ালি থানার ওসি গৌসুল হোসেন জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি ২৬ জন হলেও বুধবার মাত্র ৫ জনের গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌঁছেছে। আমরা তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
জানা যায়- ১৯ অক্টোবর সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। আদালতের নির্দেশক্রমে ১৬ অক্টোবর সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও কোতোয়ালি পুলিশ অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারী ২৬ জনের তালিকা আদালতে দাখিল করেছিলেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামিরা হলেন-সিলেট মহানগর হকার্স কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি রাকিব আলী, সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, শফিক আহমদ, মো. আবদুল বাশার, রুহুল আমিন রুবেল, মখলেছুর রহমান, শফিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক খোকন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুমন আহমদ, জিন্দাবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-কোর্ট পয়েন্ট অটোরিকশা স্ট্যান্ডের আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. ইসলাম উদ্দিন, শফিক উদ্দিন, সদস্য সচিব ইউসুফ আলী, মধুবন পয়েন্ট ইমা-লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি সোহাগ মিয়া, সহ-সভাপতি মো. আদিল, সাধারণ সম্পাদক মো. কবির মিয়া, অর্থ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া, রংমহল টাওয়ার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সভাপতি মো. আজমল হোসেন, সহ-সভাপতি মো. মুরাদ হোসেন, ধোপাদিঘীর পাড় ইমা-লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন সাবু, সহ-সভাপতি ফয়জুল মিয়া, কার্যকরী সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর নুর হিরণ, কোষাধ্যক্ষ মো. আবদুর রশিদ, আম্বরখানা-সালুটির শাখার অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য তেরা মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৯০সি ধারার ক্ষমতায় অভিযোগ আনা হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি আগামী ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন আদালত।