সিলেটে কাউন্সিলর দিবা রানী দে’র স্বামী মনিন্দ্ররঞ্জন দে উপর হামলা ও পায়ের রগ কর্তন মামলায় বহুল আলোচিত জামাল, কামাল সহ ৪ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত। গতকাল সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতে মামলার বাদি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর দিবা রানী দে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ২২ শে মার্চ পূর্ব বিরোধের জের ধরে নগরীর যতরপুর এলাকার বাসিন্দা জামাল ও কামাল বন্দরবাজারের রং মহল টাওয়ারের সমানে মনিন্দ্র রঞ্জন দে এর উপর এ হামলা চালিয়েছিল। প্রয়াত রাস্ট্রপতির মৃত্যুতে মনিন্দ্র ওই দিন রাত ৯ টায় নগরীর লামাবাজারস্থ শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়ায় প্রার্থনা শেষে বাসায় ফিরছিলেন। সন্ত্রাসীরা মনিন্দ্র রঞ্জন দে কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মনিন্দ্রকে গুরুতর আহত করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তারা বাম পায়ের গোড়ালির রগ কর্তন করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় দীর্ঘ চিকিৎসা গ্রহন শেষে মনিন্দ্র সুস্থ হলেও স্বাভাবিক হননি। আর ঘটনার দিনই কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাদি হয়ে যতরপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সোহেল, জামাল, কামাল, হেলালের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা প্রচেষ্ঠা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর কোতোয়ালী থানার এসআই রবিউল হক মাসুম মুল আসামিদের বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এই অভিযোগপত্রের উপর নারাজি দেন দিবা রানী দে। এরপর আদালতের নির্দেশে ঘটনাটির জুডিশিয়ারি তদন্ত করে মামলা আমলে নেন।
গত সপ্তাহে আসামি সোহেল, জামাল, কামাল, হেলালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করলে গতকাল দুপুরে তারা গিয়ে আদালতে আত্মসর্ম্পন করে। শুনানী শেষে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। দিবা রানী দে এর আইনজীবি এডভোকেট সৈয়দ মহসিন জানিয়েছেন- প্রথমে পুলিশ তাদের আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। এরপর জুডিশিয়ারি তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান হওয়ায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়। আর গতকাল আসামিরা আদালতে উপস্থিত হলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি