নিউজ ডেস্ক : সিলেটসহ ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও বসে নেই সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা। এখন থেকেই মাঠে সরব তাঁরা। নানাভাবে প্রচারও চালাচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। তাই এই নির্বাচনগুলোর দিকে রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীর বাড়তি নজর থাকবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, আগামী ২৮ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর প্রথম সভা থেকে করপোরেশনের মেয়াদ শুরু হয়। পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ছয় মাসের মধ্যে যেকোনো দিন ভোট গ্রহণ করা যায়।
সেই হিসাবে আগামী বছরের ১৩ মার্চ থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিলেট, ৯ এপ্রিল থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে রাজশাহী, ২৭ এপ্রিল থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে বরিশাল, ৩০ মার্চ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুলনা এবং ৮ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে হবে। আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর মে-জুনে এসব নির্বাচন হতে পারে। রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট—এই চার সিটির নির্বাচন একই দিনে করার চিন্তা আছে ইসির।
জানতে চাইলে কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, রংপুর ছাড়া অন্য সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আইন আছে। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তা ছাড়া, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি সংলাপ করছে। এটি রাজনৈতিক ও নির্বাচনী আবহ সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দলীয় সূত্রগুলো বলছে। এর বাইরে সিলেট নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রায় এক বছর ধরে তৎপর। ‘আসাদ ভাইকে মেয়র পদে দেখতে চাই’ শিরোনামে পোস্টার, বিলবোর্ডও চোখে পড়ে নগরজুড়ে।
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদও নৌকা চান। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের প্রত্যাশায় নগরে তাঁর পক্ষে প্রচার আছে।
নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান। নাসিম দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচারও চালাচ্ছেন। আর বদরুজ্জামান সম্প্রতি মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন।